কলকাতা: পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে রাস্তাঘাটে মাঝে মধ্যেই আমজনতার মুখে অভিযোগ শোনা যায়। রাস্তা-ঘাটে গাড়ি থামিয়ে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগও উঠে আসে। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজেই বীতশ্রদ্ধ পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়, তা নিজেই স্পষ্ট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। পুলিশকর্মীদের একাংশের ভূমিকায় বিরক্ত মমতা বললেন, ‘মানুষ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় যাবে। আইনত কারণ থাকলে, নিশ্চয়ই জরিমানা করবেন। কিন্তু আইন যদি না থাকে, আপনি নিজে কেন টাকাটা পকেটে নেবেন?’
এদিন পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুললেন খোদ পুলিশমন্ত্রী। বললেন, ‘ইদানিং আমি একটা প্রবণতা দেখছি। কেউ কেউ বেআইনি কাজ করছে। আর পুলিশ সেটা চোখ বুজে দেখছেন।’ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, গোটা পুলিশ-বাহিনীকে নয়, নির্দিষ্ট একটি অংশের পুলিশকর্মীরাই এই ধরনের কাজ করছেন। বললেন, ‘সব পুলিশ নয়। তাঁরা তো কাজ করেন সারাদিন। তাঁরা আমার পরিবারের লোক।’ এই বলেই মুখ্যমন্ত্রী উর্দিধারীদের একাংশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘লোকাল থানায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, বেশিরভাগ কী করছেন? আমি আর বললাম না। আমি যেমন অ্যান্টি র্যাগিং সেল তৈরি করেছি, আমি অ্যান্টি কোরাপশন সেলও তৈরি করেছি বাংলায়, মনে রাখবেন। আমরা নজর রাখছি, কে কী করছেন, না করছেন।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সন্ধেয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার পুলিশ প্রশাসনকে দলীয় কাজে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। বললেন, ‘পুলিশকে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট, পুর ভোট লুঠ করায়। আর পুলিশ তো একা খায় না। এরা সবসময় উঁচু পদের অফিসারদের বাঁচিয়ে দেয়, আর নীচু তলার কর্মীদের উপর অ্যাকশন নেয়। পুলিশ কখনও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না।’