কলকাতা: রাজ্যে সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সার্বিক চিত্র নিয়ে বার বার খোঁচা দিতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। জেলাস্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। কিছুদিন আগে শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে জেলা থেকে কলকাতায় রেফারের যে হিড়িক দেখা গিয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নবান্ন সভাঘরের এক বৈঠক থেকে চিকিৎসকদের ঘাটতি মেটাতে এক নতুন উপায়ের পরামর্শ দিলেন। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে পরামর্শ দিলেন, সিনিয়র নার্সদের (Nurse) প্রোমোশন দিয়ে ‘সেমি ডাক্তার’ (Semi-Doctor) ধরণের কিছু করা যায় কি না, সেই বিষয়টি দেখার জন্য। বললেন, ‘যাঁরা সিনিয়র নার্স হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের একটি প্রোমোশন দিয়ে… ডাক্তারতো বলতে পারবে না… কিন্তু সেমি ডাক্তার টাইপের কিছু একটা করে দেওয়া যায় আইন করে। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন দিয়ে যান, কিন্তু কাজটা ইমপ্লিমেন্ট করেন নার্সরা।’
কোন স্তরের নার্সদের এই ধরনের পদোন্নতি দেওয়ার ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর? বৈঠকে উপস্থিত স্বাস্থ্যসচিবকে মমতার পরামর্শ, ‘যাঁদের দীর্ঘদিন হয়ে গিয়েছে, যাঁদের অবসর নিতে হয়ত ৫-৭-১০ বছর রয়ে গিয়েছে… তাঁদের করা যায় কি না দেখো। সবকিছুতে আবার আইনি ব্যাপারে গেলে হবে না। মানবিকতার দিকটাও দেখতে হবে। একজন রোগী গেলে তাঁকে অ্যাটেন্ড করা স্বাস্থ্য দফতরের প্রথম কাজ। রোগীকে স্যালাইন দেওয়া, অক্সিজেন দেওয়া এবং জীবনদায়ী ওষুধ দেওয়া… রোগীকে স্টেবল করার ব্যাপারে এরা সাহায্য করতে পারে।’
পাশাপাশি নতুন যাঁরা নার্স হচ্ছেন, তাঁদেরও যাতে দ্রুত প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘স্যালাইন দেওয়া, ইঞ্জেকশন দেওয়া, অক্সিজেন দেওয়া বা ওষুধটা দেখে ঠিকমতো দেওয়া, তারজন্য প্রশিক্ষণ নিতে ১৫ দিন যথেষ্ট। নার্সরা তো আর অপারেশন করবে না। যাঁরা সিনিয়র নার্স, তাঁরা তো সেখানে আছেন। যাঁদের নতুন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তাঁদের জুনিয়র নার্স হিসেবে বিবেচনা করা হোক, ট্রেনিং দেওয়া হোক।’