কোন কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি ছড়াল সংক্রমণ, এই জেলাগুলিকে করা হল সতর্ক

রাজ্যের করোনা সংক্রমণের (West Bengal Corona Update) গ্রাফচিত্র ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। সংক্রমণের হার ছিল ১.৩৫ শতাংশ।

কোন কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি ছড়াল সংক্রমণ, এই জেলাগুলিকে করা হল সতর্ক
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 23, 2021 | 12:49 PM

কলকাতা: রাজ্যের করোনা সংক্রমণের (West Bengal Corona Update) গ্রাফচিত্র ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। সংক্রমণের হার ছিল ১.৩৫ শতাংশ। মঙ্গলবার তা বেড়ে হয়েছে ১.৭৮ শতাংশ। কলকাতায় পজিটিভ রেট ৩.০৪ শতাংশ। রাজ্যের ২৩ টি জেলায় করোনা সংক্রমণের গতিবিধি বুঝতে পেরে একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যভবন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৯ টি জেলার নীচেই রয়েছে লাল কালির দাগ।

রাজ্যে ১৫ থেকে ২১ মার্চের মধ্যে ১৯টি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। এক নজরে গোটা বিষয়টি দেখে নিন কলকাতা ১৫-২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতায় সংক্রমণের হার ছিল ২.০৯ শতাংশ ১৫-২১ মার্চের মধ্যে কলকাতায় সংক্রমণের হার ছিল ৩.০৪ শতাংশ

পশ্চিম বর্ধমান ১৫-২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার ১.০০ শতাংশ ১৫-২১ মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার ২.৯০ শতাংশ

উত্তর ২৪ পরগনা ১৫-২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার ১.৪১ শতাংশ ১৫-২১ মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার ২.৫৭ শতাংশ

হাওড়া ১৫-২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার ১.২২ শতাংশ ১৫-২১ মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার ২.৫৩ শতাংশ

হুগলি ১৫-২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের হার ১.৪২ শতাংশ ১৫-২১ মার্চের মধ্যে সংক্রমণের হার ২.২৭ শতাংশ

সংক্রমণের হারের নিরিখে এক নম্বরে কলকাতা, পশ্চিম বর্ধমান দুই নম্বরে, তারপর উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি। মোট ১৯ টি জেলায় সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। তাতে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য অধিকর্তরা।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব হাসপাতালকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। চার দফার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি বিষয় দেখে নিতে বলা হয়েছে… ১. অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি আছে কিনা তা দেখতে হবে। ২. পিপিই, মাস্ক-সহ সুরক্ষা সরঞ্জামে যেন ঘাটতি না থাকে। ৩. অনর্থ জরুরি পরিষেবা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪. কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা, তা দেখে নিতে হবে।

আরও পড়ুন: বাংলায় সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা! শহরের কোথায় কোথায় সবচেয়ে বেশি বিপদ? দেখে নিয়ে এড়িয়ে চলুন জায়গাগুলি

জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুযায়ী, যেখানে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে পজিটিভ কেস পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু একটা বড় অংশ যদি স্যাম্পেল টেস্টের আওতার বাইরে থাকে, সেখানে বোঝাই যাচ্ছে না আদৌ কতটা বেড়েছে সংক্রমণ। অনেকে আবার উপসর্গহীন, তাঁরা জানতেই পারছেন না তাঁরা আক্রান্ত। গোটা দেশে ১ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১৯৭ জনের।c