মর্গে নেই জায়গা, কেবল নিমতলাতেই স্তূপাকারে জমে ৩০০ লাশ! তৃতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় কলকাতা

May 09, 2021 | 8:26 AM

নিমতলা মহাশ্মশানে (Nimtala Sasan Ghat) মৃতদেহের স্তূপ। শনিবার আরও দুটি চুল্লি বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩০০ টি দেহ জমে যায়। রবিবার সারা দিন ধরেই দাহ করা হবে জমে থাকা দেহগুলি।

মর্গে নেই জায়গা, কেবল নিমতলাতেই স্তূপাকারে জমে ৩০০ লাশ! তৃতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় কলকাতা
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: নিমতলা মহাশ্মশানে (Nimtala Sasan Ghat) মৃতদেহের স্তূপ। শনিবার আরও দুটি চুল্লি বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩০০ টি দেহ জমে যায়। রবিবার সারা দিন ধরেই দাহ করা হবে জমে থাকা দেহগুলি। ফলে কোভিড মৃত্যু হয়নি, এমন দেহগুলি সৎকার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তবে ১২ টি চুল্লিতে এক দিনে ৩০০ দেহ সৎকার আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে জমে থাকা মৃতদেহ সৎকার করতে সোমবার গোটা দিন লেগে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে টলমল বাংলা।

হাসপাতালে করোনা রোগীর বেড নেই, বেড থাকলেও নেই অক্সিজেন। ছটফট করতে করতেই মৃত্যু হচ্ছে রোগীর। এদিকে, আবার শ্মশানেও নেই সৎকারের জায়গা। স্তূপাকারে জমে রয়েছে দেহ। ভয়ানক চিত্র খাস কলকাতায়। মর্গে জায়গা নেই দেহ রাখার। এই পরিস্থিতিতে নয়া শ্মশান-কবরস্থান তৈরি কথা ভাবছে কলকাতা পুরসভা।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই করোনায় নিমতলা মহাশ্মশানে করোনায় মৃতদের সৎকারে ব্যবহৃত একটি বিকল চুল্লির মেরামত করল পুরসভা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুরসভার তরফ থেকে সেই মেশিন মেরামতের কাজ হয়। সে সময় নিমতলার ১০টি চুল্লির মধ্যে দুটি করোনায় মৃতদের সৎকারে ব্যবহার করা হয়। তবে এখন সংখ্যা বেড়েছে বহু।

আরও পড়ুন: শপথ নিয়েই কোভিড নিয়ন্ত্রণে তৎপর রাজ! বারাকপুরে ২০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ

শনিবার প্রকাশিত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন। রাজ্যে একদিনে করোনায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুুর সংখ্যার নিরিখে যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাকে জয় করেছেন ১৮ হাজার ২৪৩ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনাকে জয় করা রাজ্যবাসীর শতকরা হার ৮৫.৮৯ শতাংশ। একই সঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন, ফের ১ দিনে প্রায় ৪ হাজার করে সংক্রমিত হলেন উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায়। দৈনিক টিকাকরণ ২ লক্ষাধিক হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার বেড়ে পৌঁছল ৩০.৩২ শতাংশে।

Next Article