HS Admission: একাদশে আসন বাড়িয়ে ৪০০, বিতর্ক বাড়তেই নতুন বিজ্ঞপ্তি সংসদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 05, 2022 | 11:26 PM

HS Admission: সংসদ একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা ২৭৫ থেকে ৪০০ করায় তীব্র আপত্তি জানায় শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, বহু স্কুলে ১২০:১ অনুপাতে ছাত্র-শিক্ষক রয়েছেন।

HS Admission: একাদশে আসন বাড়িয়ে ৪০০, বিতর্ক বাড়তেই নতুন বিজ্ঞপ্তি সংসদের
একাদশে ভর্তি নিয়ে সংসদের নতুন বিজ্ঞপ্তি। ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে শিক্ষামহলে। এ বছর মাধ্যমিক পাশ করে যাঁরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, তাদের জন্য দু’টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল অব হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুলগুলির আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭৫ থেকে ৪০০ করা। যা নিয়ে হইহই শুরু হয়ে গিয়েছে। কোন পরিকাঠামোর ভরসায় সংসদ এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন দাবি করেছে, এতে শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকবে। গত দু’দিনে এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এতটাই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাধ্য হয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে। রবিবার সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘২ জুন সংসদ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তার নিরিখে সংসদ স্পষ্ট করে দিচ্ছে ‘আসনের সর্বোচ্চ সীমা’ ২৭৫ থেকে ৪০০ করা হয়েছে শুধুমাত্র সেই সব স্কুলের জন্য যাদের যথাযথ ম্যানপাওয়ার ও পরিকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে।’

সংসদ একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা ২৭৫ থেকে ৪০০ করায় তীব্র আপত্তি জানায় শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, বহু স্কুলে ১২০:১ অনুপাতে ছাত্র-শিক্ষক রয়েছেন। কম বেশি অধিকাংশ স্কুলেই এই ছবি। সেখানে এত ছাত্র ভর্তি হলে কীভাবে পঠনপাঠন হবে, তার মানই বা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষকদের একাংশ। শহরের স্কুলগুলিতে তাও ছবিটা কিছুটা ভাল, তবে গ্রামাঞ্চলের স্কুলে উৎসশ্রীকে কাজে লাগিয়ে অনেক শিক্ষকই বদলি নিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতি।

চন্দন মাইতির বক্তব্য, “উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামগঞ্জ থেকে শহরমুখী হয়েছেন এক বিরাট অংশের শিক্ষক শিক্ষিকা। সেইসব জায়গা ফাঁকা হয়ে গেছে। কে পড়াবেন সেইসব স্কুলে? গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে এই মুহূর্তে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, কোথাও ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক কোথায়। আগে শিক্ষক নিয়োগ হোক, তারপর ছাত্র সংখ্যা বাড়ানো হোক।”

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলেরও বক্তব্য, “গত কয়েক বছর ধরে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রায় বন্ধ। নিয়োগ জটিলতা চলছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাব সবথেকে বেশি। আমরা দেখছি যে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ৮০:১, কোথাও ১০০:১, কোথাও আবার ১২০:১। এরমধ্যে আবার ছাত্র সংখ্যা বাড়ানো মানে স্কুলগুলির ঘাড়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া।” বহু শিক্ষক এর সমালোচনা করেন। এরইমধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় সামনে এল সংসদের নতুন বিজ্ঞপ্তি।

Next Article