কলকাতা: করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে মূর্ত হয়ে উঠছে মানুষের অসহায়তার চিত্রটা। প্রতিটা মুহূর্তে কাউকে পাশে প্রয়োজন। অথচ হাতরেও মিলছে না হাত। তবে একেবারে যে মিলছে না তা মানতে নারাজ তৃণমূলের মুখপাত্র সুদীপ রাহা। জানালেন, গত এক মাস ধরে তাঁদের দলের তরফে কোভিড হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। একটা ফোন এলেই, ছুটে যাচ্ছেন তাঁদের কাছে।
গত ৫ মে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড হেল্প ডেস্কের যাত্রাও শুরু সেই দিন থেকেই। এখনও অবধি ৪ হাজারের বেশি মানুষ ফোন করেছেন কোভিড হেল্প ডেস্কের স্বেচ্ছাসেবকদের। প্রয়োজন মত কারও কাছে পৌঁছে দিয়েছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার, কারও বাড়ি স্যানিটাইজ করে দিয়েছেন সংক্রমণমুক্ত হওয়ার পর। মূলত শহর, শহরতলি ও জেলার তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা এই হেল্প ডেস্কটি চালান।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বাতিল, কোন পথে হবে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন?
এখন ডিজিটালের দুনিয়া। সুন্দর একটি ঝকঝকে ওয়েবসাইটও তৈরি করেছেন এখানকার ভলেন্টিয়াররা। অক্সিজেন সরবরাহ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নম্বর মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া থেকে কোভিড আক্রান্ত পরিবারকে খাবার সরবরাহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া —সবরকম সহযোগিতা করছেন সংক্রমিতদের। হাসপাতালে খালি বেডের সংখ্যা বা বিনামূল্যে টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
এমন বহু পরিবার রয়েছে যাঁরা সহায়হীন। বাড়িতে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একা থাকেন। একজন কোভিড পজিটিভ শুনেই অন্যজনের হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। এদিকে প্রতিবেশীরাও কোভিড প্রোটোকল ভেঙে এগিয়ে আসার সাহস দেখান না। সেই ক্ষেত্রে পরিষেবা ও অসহায় পরিবারগুলির মাঝখানে সেতু হয়ে উঠছে এই কোভিড হেল্প ডেস্ক। এই অতিমারির পৃথিবীতে মানুষ বড় একলা, পাশে দাঁড়ানোটাই হোক একমাত্র ব্রত।