কলকাতা: আচমকাই দিল্লি থেকে তলব পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে ডাক আসার পরই রাতের বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকেই ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। ডাক পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে চেপে বসেন অধুনা বিজেপির এই অনুগত নেতা। যদিও বঙ্গ বিজেপি থেকে আর কাউকে ডেকে পাঠানো হয়নি বলেই খবর। কিন্তু কেন আচমকা তাঁকে একাই ডেকে পাঠানো হল তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শুভেন্দু যে রাজ্য বিজেপিতে ধারে ও ভারে ক্রমশ ওজনদার হয়ে উঠছেন তা এখন দৃশ্যত স্পষ্ট। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির একমাত্র প্রাপ্তি যদি কিছু হয়, তা অবশ্যই নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয়। এই অবস্থায় জায়েন্ট কিলার হওয়ার সুবাদে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তাঁর গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। রাজ্যে আলাপন বিতর্ক হোক বা অন্য কোনও ধরনের স্পর্শকাতর ইস্যু, সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলার লাইসেন্সও খালি নন্দীগ্রামের বিধায়ককেই দিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এতে বিজেপির আরেকটি গোষ্ঠী খুব একটা স্বস্তিতে নেই বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। এহেন তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে একা শুভেন্দুকেই ডেকে পাঠালেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।
আরও পড়ুন: ‘অবশেষে ৪ মাস পর উনি শুনলেন’, তীর্যক সুরে কেন্দ্রের ফ্রি টিকাকরণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত মমতার
কী কারণে একা শুভেন্দুকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হল তা নিয়ে অবশ্য ধন্দ রয়েছে। আজ রাত ১১ টা নাগাদ তিনি দিল্লি পৌঁছবেন। আগামিকাল জেপি নড্ডার সঙ্গে তাঁর একটি বৈঠক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও হাজির থাকবেন। কিন্তু কী নিয়ে আলোচনা হবে? বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যে বিজেপির পরবর্তী রণনীতি নিয়ে দু’দিন ব্যাপী এই বৈঠকে আলোচনা করা হতে পারে। তবে যদি তেমনটাই হয় তাহলে রাজ্যের বাকি নেতাদের কেন ডেকে পাঠানো হল না এই বৈঠকে? প্রশ্ন উঠছেই।
আরও পড়ুন: অভিষেক ২.০: ২০ বছর মন্ত্রিত্ব চান না, তা হলে কী চাইছেন তৃণমূল সাংসদ?