কলকাতা: ফের শহরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এই মুহূর্তে কলকাতায় ৩৩ জন করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে আইআইএম জোকারই ২৮ জন ছাত্র কোভিড পজিটিভ। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, প্রত্যেকেই দু’টি বেসরকারি ল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষা করেছিলেন। সেই রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে ফের রিপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য। এ ছাড়াও ৫৮ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এই ৫৮ জনের নমুনা তিনদিন অন্তর পরীক্ষা করার জন্য পুরপ্রশাসন আইআইএম জোকাকে অনুরোধ করেছে। যদি আইআইএম জোকা সেই অনুমতি না দেয়, সেক্ষেত্রে গোটা আইআইএম জোকাকে কনটেনমেন্ট জ়োন করা হবে। যেহেতু বাইরে থেকে ছাত্ররা পড়তে আসছে, ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছে পুরকর্তৃপক্ষ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য নজরদারি রাখছে কলকাতা পুরনিগম। তাঁর মত, প্রথম থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখলে আগামিদিনে বড় বিপদের মুখে পড়তে হবে না। তেমনটা না হলে বিপদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কলকাতার মেয়র।
নতুন করে কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়ার চিত্রে। জ্বর, কোভিডের উপসর্গ নিয়ে লক্ষাধিক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। গতকালই উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির তরফে জানানো হয়, এপ্রিলের শেষে দেশে অজানা জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার নতুন করে ২১ জন মারা যাওয়ায় ও ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৪০ জনের মধ্যে নতুন করে জ্বরের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৪০। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
অন্যদিকে সম্প্রতি দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কোভিড সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আমাদের টিকাকরণ অভিযান বিশ্বে সর্ববৃহৎ। আমরা ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ করেছি। ৫ কোটির বেশি শিশু ইতিমধ্যেই টিকার ডোজ় পেয়েছে। ভারত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত চারটি টিকা উৎপাদন করছে এবং এ বছর ৫০০ কোটি টিকার ডোজ় উৎপাদন করার ক্ষমতা অর্জন করেছে। আমরা ৯৮টি দেশকে দ্বিপাক্ষিকভাবে অথবা কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ কোটি টিকার ডোজ় পাঠিয়েছি। নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভারত কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্বল্পমূল্যের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।”