কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আপাতত গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সায়গল। আদালতের নির্দেশে রয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগারে। এই সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। শুক্রবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লির বিশেষ আদালত। একইসঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, সায়গলকে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলেও সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে হবে।
গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ৯ জুন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সায়গলের ১০০ কোটির সম্পত্তি রয়েছে। একজন রাজ্য পুলিশের সাধারণ কনস্টেবল হয়ে কী করে কেউ এই সম্পত্তির মালিক হতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তদন্তকারীদের মনে। সেই টাকার উৎস জানতে এবার মরিয়া ইডিও।
দিন তিনেক আগেই সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে সেখানকার আদালতে পেশ করার আবেদনও জানিয়েছিল ইডি। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লির এই আদালত। ফের নতুন করে আবেদন করতে বলা হয় ইডিকে। এবার দিল্লির আদালত জানাল, আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে হবে।
কেন সায়গলকে জেরা করতে চাইছে ইডি? কারণ, ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে গরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। এখন সেই এনামুলের ঠিকানা তিহাড় জেল। এর আগে ২০২০ সালে এনামুলকে সিবিআইও গ্রেফতার করেছিল। ইডি চাইছে, এই তদন্তে সায়গলকে জেরা করার সুযোগ পেলে, আরও বড় কোনও তথ্য হাতে উঠে আসতে পারে। ইতিমধ্যে গরু পাচার মামলায় যে চার্জশিট দাখিল হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে সায়গলের। সিবিআইয়ের হাতেও সায়গলকে নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলেও সূত্রের দাবি।