কলকাতা: আদালতে ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। তদন্তে নেমে এক কর্মীর বাড়ি থেকে তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছিল সিবিআই। সেই হার্ড ডিস্ক থেকে দেখা গিয়েছে, কেউ শূন্য, এক, দুই পেয়েছেন, অথচ সার্ভারে দেখাচ্ছে তাঁরা ৫০, ৫৩ পেয়েছেন। কেউ আবার সাদা খাতা জমা দিয়েছেন, আর সার্ভারে দেখাচ্ছে ৫৩ পেয়েছেন। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে, ব্রাত্য বসু এক একান্ত সাক্ষাৎকারে টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, “আমরা কাউকে আড়াল করছি না।”
ব্যতিক্রমী নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বাবু বলেন, “এটি এসএসসি চিহ্নিত করেছে। এই প্রক্রিয়ায় আমরা জারি আছি। সংখ্যা বাড়তেও পারে। গতকালই আমি বলেছি, কিছু বেনিয়ম তো নিশ্চয়ই হয়েছে। সেটিকে তো অস্বীকার করার জায়গা নেই।” পাশাপাশি তিনি এও আশ্বাস দেন, “আদালত যদি বলে দেয়, যদি চিহ্নিত করে দেয় সংখ্যা, তাহলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সঙ্গে তিনি কী করা হবে, তারও বিবরণ দিয়ে বলেন, “এদের চিহ্নিত করা, সিস্টেম থেকে বের করা এবং ওয়েটিং প্যানেলে ক্রমতালিকা অনুযায়ী মেধাভিত্তিক নিয়োগ করা।”
ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের কি আড়াল করা হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, “আমরা কাউকে আড়াল করছি না। তাহলে কি গতকাল সংখ্যা বলতে পারে এসএসসি?” ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, “আমরা ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় রয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “যোগ্যরা বঞ্চিত হবে, তা একেবারেই চাইছে না রাজ্য সরকার। সেই কারণে সমস্ত সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করতে সরকার রাজি আছে।”
মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যে কথা জানিয়েছিলেন, এদিন সেই কথাগুলিই আরও একবার স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট কথা, আদালত যা নির্দেশ দেবে, সেই মতোই কাজ হবে।