Bratya Basu: মমতা কেন চৈতন্য দেবের উত্তরসূরি, যুক্তি দিয়ে বোঝালেন ব্রাত্য

সুমন মহাপাত্র | Edited By: Soumya Saha

Dec 27, 2023 | 11:54 PM

Bratya Basu: তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ইতিমধ্যেই ব্রাত্যর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। কুণালের বক্তব্য, ব্রাত্য একদম ঠিক কাজ করেছেন। তাঁর কথায়, 'চৈতন্য দেবের যে সংস্কৃতি, সব শ্রেণির মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে মিছিল করার যে প্রবণতা, তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির প্রভূত মিল পাওয়া যায়। সেই জায়গা থেকেই ব্রাত্য বসু ব্যাখ্যা করেছেন।'

Bratya Basu: মমতা কেন চৈতন্য দেবের উত্তরসূরি, যুক্তি দিয়ে বোঝালেন ব্রাত্য
ব্রাত্য বসু
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এক মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পূর্বস্থলীতে খাল বিল চুনো মাছ পিঠে পুলি ও প্রাণীপালন উৎসবে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেছেন, চৈতন্য দেবের উত্তরাধিকারী যদি কেউ বাংলায় থাকেন, তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে এই মন্তব্য ঘিরে। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ইতিমধ্যেই ব্রাত্যর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। কুণালের বক্তব্য, ব্রাত্য একদম ঠিক কাজ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘চৈতন্য দেবের যে সংস্কৃতি, সব শ্রেণির মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে মিছিল করার যে প্রবণতা, তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির প্রভূত মিল পাওয়া যায়। সেই জায়গা থেকেই ব্রাত্য বসু ব্যাখ্যা করেছেন।’

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজেও এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নিজের মন্তব্য অচল থেকে তাঁর যুক্তি, ‘সর্ব-ধর্ম সমন্বয়ের প্রসঙ্গে আমি ওই কথা বলেছি। সর্ব-ধর্ম সমন্বয় সিপিএম বা বিজেপির বোঝার কথা নয়। একটি দল নাস্তিক, অন্য দল সাম্প্রদায়িক। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধর্ম, সব বর্ণের মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে চান। পশ্চিমবঙ্গে সবাইকে নিয়ে চলার রাজনীতি নিয়ে এসেছেন তিনি। এর মধ্যে যেমন বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন, তেমনই অসাম্প্রদায়িক মানুষও আছেন। সেই কারণেই আমি গতকাল ওই কথা বলেছি।’

এদিকে, ব্রাত্য বসুর গতকালের ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপি শিবির। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বললেন, ‘তৃণমূলীদের চৈতন্য হোক। এর বেশি আর কী বলতে পারি! আগে শুনেছিলাম উনি মতুয়া। তারপর শুনলাম, মা সারদার পুনর্জন্ম হয়েছে কালীঘাটে। এখন আবার শুনছি চৈতন্যদেব।’