কলকাতা: গার্ডেনরিচকাণ্ডে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় আমির খানকে। শুক্রবার গ্রেফতারের পর শনিবার তাঁকে কলকাতায় আনা হয়। তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিন আদালতে সওয়াল-জবাব চলাকালীন আমিরের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল ই-নাগেটস অ্যাপ সংক্রান্ত কিছুর সঙ্গে যুক্ত না। মানুষ কীভাবে এর ফাঁদে পড়ল তাও আমির জানেন না। পাল্টা সরকারি আইনজীবী বলেন, অভিযুক্ত অন্য কোম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২টি অনলাইন গেম চালু করেন। সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্ট খুলে দেন। মানুষকে বোঝানো হয়, অনলাইনে প্রোডাক্ট (মেম্বারশিপ) কেনাবেচা করতে হবে। বিক্রির ফলে যে টাকা আসবে তাতে ভালো কমিশন পাওয়া যাবে।
পুজোর আগে আরও এক রহস্য রোমাঞ্চের সমাধান। তবে এবার ইডির গোয়েন্দারা নয়, চেকমেট দিল কলকাতা পুলিশ। একটু সময় লাগল, তবে জালে পড়লেন কলকাতার আমির। গত ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল এলাকায় নিসার খানের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুরু হয় ইডির তল্লাশি। সেই বাড়ির খাটের তলা থেকে ১৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। এই বিপুল টাকা উদ্ধারের ঠিক দু’সপ্তাহের মাথায় উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে আমির খানকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। আপাতত ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকবেন তিনি।
সরকারি আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, ১৪৭টি অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। সেখান থেকে পাঁচটি অ্যাকাউন্টে সরানো হয়। প্রায় ৪৭ কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। জাল কেওয়াইসি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয় বলেও আদালতে জানান সরকারি আইনজীবী। সন্দেহজনক লেনদেনের প্রসঙ্গও উঠে আসে আদালতে। টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে গিয়েছে বলেও এদিন আদালতে উঠে আসে। এরপরই ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের কথা বলা হয়। আমিরকে জেরা করে আরও নাম, চাঞ্চল্যকর তথ্যও উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। আদালত আমিরকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। আমির খানের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা হয়েছিল। কোর্টের নির্দেশেই বিষয়টি পার্ক স্ট্রিট থানায় যায়। ইডি সূত্রে খবর, আমির খান ই-নাগেটস নামে মোবাইল গেমিং অ্যাপটি লঞ্চ করেছিলেন। লোক ঠকাতেই এই গেমিং অ্যাপ বাজারে আনা বলেই ইডির হাতে তথ্য উঠে এসেছে।