কলকাতা : অনেক সময় দেখা যায় স্কুলগুলিতে বিদ্যুতের বিল প্রচুর হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি অফিসগুলি থেকেও বিদ্যুতের বিল প্রচুর হচ্ছে। ইলেকট্রিসিটি নিয়ে সচেতনতার অভাবও রয়েছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় এবার বিশেষ জোর দিচ্ছে নবান্ন। রাজ্যের সোলার পাওয়ার প্লান্ট ব্যবহারের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার পথে হাঁটছে নবান্ন। বিদ্যুতের খরচ কমিয়ে সোলার পাওয়ার প্লান্ট ব্যবহারে এবার তৎপর রাজ্য সরকার। জেলাগুলিতে কোন কোন স্কুলে সোলার পাওয়ার প্লান্ট বসানো যেতে পারে, সেই তালিকা চাইল অপ্রচলিত শক্তি উৎস দফতর। বিভিন্ন জেলাগুলির থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছে। শুধু স্কুলগুলিই নয়, এর পাশাপাশি সরকারি দফতর ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিরও তালিকা চেয়েছে নবান্ন।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৯৫৪ টি স্কুলে সোলার পাওয়ার প্লান্ট বসানো হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা কার্যকর হয়নি বলেই ক্ষোভ নবান্নের। তার জন্য এবার সেই সব সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টগুলিতে নজরদারি চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রত্যেকটি জেলায় অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার নিয়ে “ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি” গঠন করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে রাজ্য। বিদ্যুতের বিল কমানোর পাশাপাশি পরিবেশকে সুরক্ষিত করা যাবে, সেই ভাবনার থেকেই এই উদ্যোগ বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। অপ্রচলিত শক্তি দফতরের থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলাকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিসগুলিতে বিদ্যুতের বিল কমানোর জন্য রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষ করে রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে বসানো সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টগুলির নজরদারির যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে আগামী দিনে বিদ্যুতের বিল বাবদ খরচের চাপ অনেকটাই কমানো যেতে পারে বলে মত নবান্নের একাংশের।