কলকাতা: সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরকারি জমি জোর করে দখল করে নেওয়া ঠেকাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার। কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য সরকারের শীর্ষ আমলারা। মনোজ পন্থ, প্রভাত মিশ্র, মনোজ ভার্মা, বিনীত গোয়েলদের নিয়ে ওই কমিটি সরকারি জমি দখল রুখতে পলিসি তৈরি করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকেও সরকারি জমি-বাড়ির প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। প্রচুর সরকারি জমি ও বাড়ি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে, সেই বিষয়টি গতকাল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে উঠে এসেছিল বলে সূত্রের খবর। তার আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা বুধবারই রাজ্যের সব দফতরের প্রধান ও জেলাশাসকদের নিজেদের এলাকায় সরকারি জমির তালিকা তৈরি করার জন্য। জানা যাচ্ছে, গত ১১ তারিখ প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সব সরকারি জমির তালিকা তৈরির জন্য। সেই মতোই মুখ্যসচিব সব দফতরের প্রধান ও জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেন। সেখানে বলা হয়েছিল, ২১ জুনের মধ্যে আন্ডার সেক্রেটারিকে মেল মারফত তালিকা জানাতে হবে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এদিন জানিয়েছেন, কিছু জায়গায় জলাশয় দখল হয়ে অবৈধ নির্মাণ গজিয়ে উঠছে। পুরনিগম খবর পেলেই সেগুলি ভেঙে দিচ্ছে। এই জমিগুলি আসলে পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনে। তাদের নিজেদের একটি টিম থাকা দরকার। কলকাতা পুরনিগমের বাইরেও শহর-লাগোয়া কিছু জায়গাতেও জলাজমি দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে ও পুলিশকে এটা দায়িত্ব নিয়ে দেখতে হবে। তবে কেএমডিএ-র যা জমি দখল হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেগুলি প্রায় পুরোটাই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।