কলকাতা : রাজ্যে করোনায় লাগাম টানতে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। কিন্তু সামনেই গঙ্গাসাগরের মেলা (Gangasagar Mela)। করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে মেলা বন্ধ করার জন্য, বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসছিল। কিন্তু সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত মেলা বন্ধ করার বিষয়ে কোনও চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে না। বরং কীভাবে করোনার যাবতীয় সুরক্ষা বিধি (COVID 19 Safety Measures) মেনে মেলায় আয়োজন করা যায়, সেই নীল নকশাই তৈরি করছে রাজ্য প্রশাসন।
মঙ্গলবার কলকাতা পুরনিগমের নতুন বোর্ডের মেয়র পরিষদ সদস্যদের বৈঠক করেন শহরের মহানাগররিক ফিরহাদ হাকিম। বিভিন্ন দফতরের বিষয় নিয়ে বিকেলের ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। অনুমোদন দেওয়া হয়েছে খিদিরপুর অঞ্চলে জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ইপিসি মডেলে টেন্ডার ডাকার বিষয়ে। এর পাশাপাশি নবাব আলি পার্ক পাম্পিং স্টেশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মেয়র পরিষদদের বোরো দায়িত্ব ভাগ করা, শহরের জলের ব্যবস্থাপনা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবারের বৈঠকে। এর পাশাপাশি, গঙ্গাসাগর মেলায় ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পূন্যার্থীদের জন্য আউটরাম ঘাটে করা হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। যাঁরা মেলায় যাবেন, তাঁদের সবাইকে আউটরাম ঘাটে কোভিড টেস্ট করানো হবে। এ ছাড়া ভ্যাকসিনের ব্যবস্থাও থাকবে ঘাটেই।
পূন্য়ার্থীদের ভিড় সামাল দিতে রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা। এ ছাড়া করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আইসোলেশনের ব্যবস্থাও করা হবে। এর পাশাপাশি রাখা হবে অ্যাম্বুলেন্সও। কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে প্রয়োজনে পাঠানো হবে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনাকে কাবু করতে একগুচ্ছ কড়াকড়ি জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেই নিয়ে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, “মানুষকে বিনা কারণে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। চিন্তা ভাবনা করেই করা উচিৎ ছিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার।” তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি বললেন, “প্রথমে কেন ৬ টা করা হয়েছিল? রাজ্য সরকার ঠিক করুক আগে লোকাল ট্রেন চলবে কী চলবে না, কখন চলবে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় যা আসে ফট করে বলে দেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার করলেন, এখন বন্ধ করে দিচ্ছেন। দুয়ারে সরকার করলেন, বন্ধ করে দিচ্ছেন। চিন্তা ভাবনা না করে সিদ্ধান্ত নেন।”
মঙ্গলবার বিকেলে পুরনিগমের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য়েরও জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, “যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তখন দিলীপ ঘোষ মানেন না। আর যখন তিনি নিজে বলেন, তখন তাঁর বেলায় কিছু নয়।” এর পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচনে বিজেপির বিরোধিতা প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি জন্য নয় মানুষের জন্য (নির্বাচন)। নির্বাচন কমিশন যা মনে করেছে, তা করেছে। তারা (বিজেপি) জেনে গিয়েছে যে তারা হারবে। তাই এইসব কথা বলছেন।”