কলকাতা: রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সাম্প্রতিককালে এক অচলাবস্থার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। বিশেষ করে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের ঠোকাঠুকির জন্য়ই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সত্যিই কি রাজভবন ও নবান্নের ইগোর লড়াইয়ের কারণে উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্ষতি হচ্ছে? কী মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা বাংলার সাংবিধানিক প্রধান? টিভি নাইন বাংলার ঠোঁটকাটা অনুষ্ঠানে সম্প্রচারিত এক একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বোস বললেন,”আমার নীতি হল, যখন আমি দেখি ইগো, আমি বলি ইউ গো।”
কিন্তু দু’পক্ষ বসে কথা বলেও তো এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যায়। সেরকম কিছু কেন দেখা যাচ্ছে না? প্রশ্ন করায় রাজ্যপালের ব্যাখ্যা, এই বিষয়টি একটি পর্যায় পর্যন্ত হয়। সরকারের ক্ষেত্রেও একটি স্তর রয়েছে। সেই স্তরের ব্যাখ্যাও দিলেন রাজ্যপাল। বোসের কথায়, ‘কোনও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী সরকার চালান। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের ভাল সমন্বয় থাকে। এভাবেই প্রশাসন চলে। অন্যান্য মন্ত্রীরা জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি।’
সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বোস আরও বলেন, “আমি জুনিয়র অ্যাপয়েন্টিদের সঙ্গে কোনও ইস্যুতে আলোচনা করব না। সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনার দরকার হলে, আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। একইভাবে তিনিও আমার সঙ্গে আলোচনা করবেন।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে উপচার্য নিয়োগের জটিলতাকে কেন্দ্র করে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। আদালতে পর্যন্ত গড়িয়েছে সেই জটিলতা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মাঝেমধ্যেই নাম না করে খোঁচা দেন রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য বোসকে। এসবের মধ্যেই এবার পাল্টা বিঁধলেন রাজ্যপালও।