কলকাতা: শুক্রবার কলকাতায় রেড রোডে ঝাঁ-চকচকে পুজোর কার্নিভাল। কিন্তু, সেই কার্নিভালের জন্য রাজভবনে কোনও আমন্ত্রণ যায়নি বলেই সূত্রের খবর। আজ যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডে পুজোর কার্নিভালে ব্যস্ত থাকবেন, তখন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ব্যস্ত থাকবেন অন্য একটি কর্মসূচিতে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটের সময় রাজভবনের পূর্ব দিকের লনে বিএসএফের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। আজ দুপুরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও নেহরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘মেরি মাটি, মেরা দেশ’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে রাজভবনে। সেখানেই থাকবেন রাজ্যপাল বোস।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার আয়োজিত দুর্গাপুজোর কার্নিভালে অতীতে অবশ্য রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্কের তিক্ততা চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ও ধনখড়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রেড রোডে পুজোর কার্নিভালকে। যদিও পরে আক্ষেপের সুরে ধনখড় বলেছিলেন, কার্নিভালে ডেকে তাঁকে ‘অপমানিত’ করা হয়েছে।
ধনখড় জমানায় রাজ্য-রাজভবন তিক্ততার মধ্যেও কার্নিভালের আমন্ত্রণ পেয়েছিল রাজভবন। তবে এবার সেটাও হয়নি বলে রাজভবন সূত্রে খবর। পুজোর কার্নিভালের জন্য রাজ্যপালকে এবার আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি বলেই রাজভবন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় আজ দুপুরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস উপস্থিত থাকবেন রাজভবনে বিএসএফ-এর এক কর্মসূচিতে।
প্রসঙ্গত, পুজোর মরশুমে রাজ্যপালকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালকে জাগো বাংলার শারদ সংখ্যা ও মিষ্টিও উপহার দিয়েছিলেন তিনি। এরপর অষ্টমীর সকালে কুণালের পাড়ার পুজোয় পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। তৃণমূল মুখপাত্রকে পাশে নিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়েছিলেন। তারপর পুজোর কার্নিভালের দিন এই দৃশ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।