কলকাতা : রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (State Universities) উপাচার্যদের (Vice-Chancellor) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)। সূত্রের খবর, আগামী ১৭ জানুয়ারি এই বৈঠক হতে পারে। ডাক পড়েছে রাজ্যের ৩০টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের। ইতিমধ্য়েই তাঁর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। রাজ্যপালের সঙ্গেই বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। থাকতে পারেন রাজ্যের শিক্ষা সচিবও। সূত্রের খবর, উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই উপাচার্যদের বৈঠকে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সংবিধানিক ক্ষমতা বলে বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়েরই আচার্য রাজ্যপাল। সেই ক্ষমতা বলেই তিনি চাইলে যে কোনও সময়েই ডাক দিতে পারেন উপাচার্যদের বৈঠকে। তবে এই প্রথম কোনও বাংলার রাজ্যপাল বৈঠক ডাকলেন এমনটা নয়।
আগে একাধিকবার রাজ্যের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন বাংলার তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু, রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দেননি উপচার্যরা। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতরও হয়। রাজনৈতিক মহলেও হয় বিস্তর চর্চা। এদিকে, ধনখড় আমলে বারেবারেই চরমে উঠেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ডেকে পাঠানোর পরেও উপাচার্যরা না আসায় অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। করোনার কারণ দেখিয়ে বৈঠকে আসেননি সিংহভাগ উপাচার্য। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল ধনখড়কে।
উপাচার্যদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন টুইটারে। সেখানে ধনখড়ের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল বৈঠকে না আসার জন্য যে কারণ উপাচার্যরা দেখিয়েছেন, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। উপাচার্যদের লেখা চিঠির বিষয়বস্তুকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছিলেন রাজ্যপালের। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এই রাজ্যে যে ভয় বাতাবরণ রয়েছে, সে কারণেই বৈঠকে যোগ দিতে চাননি উপাচার্যরা। উল্টে যে কারণ দেখিয়ে বৈঠকে অনুপস্থিতির চিঠি পাঠানো হয়েছিল তাতেও ছিল সেই ভয়েরই প্রতিফলন। তবে বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত বিশেষ সম্পর্ক ভালই রয়েছে রাজ্যের। সে কারণেই বৈঠক নিয়ে আলাদা কোনও প্রশাসনিক জটিলতা নেই বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন দেখার, বৈঠক যদি হয় সেখানে নিজের কোন পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরেন নয়া রাজ্যপাল।