কলকাতা: করোনার ভয়বহতা একমাত্র ঠেকাতে পারে ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই এই তত্ত্বে দেশ এবং বিশ্বের শীর্ষ স্তরের বিশেষজ্ঞদের সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। কিন্তু ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ একটা বিষয় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, বয়জ্যেষ্ঠদের পাশাপাশি শিশুরাও সমানভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের আবার দাবি, তৃতীয় ঢেউ এলে সবচেয়ে বেশি তা শিশুদের ভোগাবে। ফলে চিন্তা বেড়েছে, কারণ ভ্যাকসিন তো ১৮ উর্ধ্বদের জন্য। কচিকাচাদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখতে হবে? এই প্রশ্নের সমাধানেই এ বার শিশুদের চিকিৎসার জন্য কোভিড প্রোটোকল জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন।
সূত্রের খবর, চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি এই প্রোটোকল তৈরি করেছে। সেই প্রটোকলে মূলত শিশুদের করোনা হলে কী কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেই কথা উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্যভবন। ৮ বছরের কম বয়সী কোনও শিশুর যদি হালকা জ্বরের সঙ্গে কফ, গলা ব্যথা এবং নাক বন্ধ হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেখা যায়। এবং যদি পেট খারাপ বা বমি অথবা স্বাদ গন্ধ চলে যায়। তবে সেটা করোনার সামান্য উপসর্গ হতে পারে। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল, ওআরএস এবং খাবার দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ভিটামিন সি, ডি এবং জিঙ্ক দেওয়ার কথাও ভাবা যেতে পারে। জ্বরের ক্ষেত্রে ১০-১৫ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামলও প্রয়োগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলার দৈনিক আক্রান্ত ২০ হাজার পার, মৃত্যু ১৩২ জনের, কমছে না সংক্রমণের হার
কোনও শিশুর যদি ৪ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকে ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যায় এবং অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের নীচে থাকে, সেক্ষেত্রে একে মাঝারি উপসর্গ হিসেবে গণ্য করতে হবে। নিউমোনিয়া-সহ অক্সিজেনের মাত্রা যদি ৯০ শতাংশের নীচে নেমে যায় তবে তা এমন পরিস্থিতিতে গুরুতর অসুস্থ হিসেবে সেই শিশুকে গণ্য করতে হবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে চিকিৎসা করা উচিত সেই বিষয়টি আজকেই গাইডলাইনে জানিয়েছে রাজ্য। নীচে তুলে ধরা হল রাজ্যের সেই গাইডলাইন। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, কোনও পরিস্থিতিতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের