কলকাতা : এবার থেকে কোনও মেডিকেল নথি কিংবা ফরেন্সিক নথিতেও উল্লেখ করা যাবে না নির্যাতিতার নাম। এই মর্মে বুধবারই এক নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। রাজ্যেক সবক’টি মেডিকেল কলেজের এমএসভিপিকে পাঠানো হয়েছে এই নির্দেশিকা। অভিযোগ উঠেছে, পকসো আইন অমান্য করে বিজেপির এক নেতা হাঁসখালির নির্যাতিতা নাবালিকার নাম প্রকাশ করে দিয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে, সেই অভিযোগের জেরেই এই নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে এখন থেকে কোনও নির্যাতিতার নাম তাঁর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ করা যাবে না। এমনকী ফরেন্সিক রিপোর্টেও থাকবে না নির্যাতিতার নাম।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, ,সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে পকসো আইন মোতাবেক কোনওভাবেই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করা যাবে না। আদালতের সেই নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে। উল্লেখ্য, হাঁসখালির নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনা এখন রাজ্যের এক জ্বলন্ত ইস্যু। শুধু হাঁসখালিই নয়, সাম্প্রতিককালে রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। নামখানা, শান্তিনিকেতন, হাঁসখালি, পিংলা, ময়নাগুড়ি, মাটিয়া। হাঁসখালির ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের এক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
হাঁসখালি নিয়ে রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে কোনও খামতি রাখছে না বিরোধী দলগুলি। হাঁসখালির ঘটনার সত্যানুসন্ধানের জন্য একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলও গঠন করে বিজেপি। সেই প্রতিনিধি দল হাঁসখালি গিয়েছিলেন। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। বিজেপির ওই প্রতিনিধি দলের এক নেত্রী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাঁসখালির নির্যাতিতার নাম ভুলবশত প্রকাশ করে ফেলেন। তা নিয়েই শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে ওই বিজেপি নেত্রীকে শোকজও করা হয়েছে। এই ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও মেডিকেল রিপোর্ট বা ফরেন্সিক রিপোর্টে কোনওভাবেই নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করা যাবে না।
আরও পড়ুন : Suvendu vs Mamata: ‘শিল্পপতি কি ওনার ভাইপো? আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়’, এজেন্সি ইস্যুতে মমতাকে পাল্টা শুভেন্দুর