Panchayat Election 2023: কমিশনের অফিসে দেড় ঘণ্টার বৈঠক স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশকর্তার, কী নিয়ে হল আলোচনা?
State Election Commission: সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। এর পাশাপাশি জেলাগুলি থেকে আসা বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলির পর্যালোচনাও করা হয়েছে ওই বৈঠকে। সেই মোতাবেক রাজ্যের তরফে কোথায় কত বাহিনী দেওয়া যাবে, সেই সব দিক নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে, জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য। একইসঙ্গে স্পর্শকাতর এলাকাগুলি দ্রুত চিহ্নিত করারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপরই আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) অফিসে বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা এবং এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। শুক্রবার বিকেলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয় কমিশনের অফিসে। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজির। তার আগে এই বৈঠক স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। এর পাশাপাশি জেলাগুলি থেকে আসা বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলির পর্যালোচনাও করা হয়েছে ওই বৈঠকে। সেই মোতাবেক রাজ্যের তরফে কোথায় কত বাহিনী দেওয়া যাবে, সেই সব দিক নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। রাজ্যের ফোর্সের বিষয়ে সমস্তটা এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা)-র থেকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজ্যের হাতে এই মুহূর্তে কত সংখ্যক বাহিনী রয়েছে, রাজ্যের তরফে কমিশনকে কত বাহিনী দিতে পারবে, সেই সমস্ত দিক নিয়ে আজ বিকেলের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিন বিকেলে কমিশনের অফিসে বেরনোর সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না। সংক্ষিপ্ত জবাবে রাজীব সিনহা গাড়িতে উঠতে উঠতে বলে যান, ‘অন্য কোনও ডিসিশন নিলাম না। হবে না।’ রাজীব সিনহা এই মন্তব্যে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। তবে রাজীব সিনহা কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিছু সময় পরেই জানা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছে কমিশন ও রাজ্য।