হুগলি: হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। ইতিমধ্যেই বেআইনি নিয়োগের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। কুন্তলকে গ্রেফতারের পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এর আগে হুগলিরই ধনিয়াখালির ভান্ডারহাটিতে কুন্তলের একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খোঁজ মেলে বলে অভিযোগ ওঠে। এবার আরও একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হদিশ পাওয়া গেল। ধনিয়াখালির পর এবার মধুপুর এলাকা। মধুপুরও ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত। অভিযোগ, ২০১৬ সালের আগে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতেন বহু ছাত্র ছাত্রী। যদিও ২০১৬ সালের পর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংস্কারের কাজ হবে বলে তা বন্ধ রাখা হয়। অভিযোগ, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হতে গেলে খরচ করতে হতো লক্ষ লক্ষ টাকা। এতদিন কুন্তল ঘোষের নামে চাকরি বিক্রির অভিযোগ ছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ।
১. চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি থেকে ৩০ কোটি টাকা তোলা।
২. তাপস মণ্ডলের হাত ঘুরে থেকে আসা প্রার্থীদের কাছ থেকে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তোলা।
৩. ভুয়ো ওয়াবসাইট খুলে কোটি কোটি প্রতারণা।
৪. টলিউডে প্রোডাকশন হাউজ খুলে ঢালাও ওয়েব সিরিজ বানিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে কুন্তলের নামে। সেই টাকা কি নিয়োগসংক্রান্ত লেনদেনের টাকা?
৫. হুগলির নির্বাচনী প্রচারে কোটি কোটি টাকা খরচেরও অভিযোগ রয়েছে।
৬. শিক্ষক নিয়োগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা।
ধনিয়াখালির ভান্ডারহাটিতে প্রথমে কুন্তলের একটি কলেজ থাকার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি বলাগড়ের জিরাট গ্রামপঞ্চায়েতের পাটুলি গ্রামে একটি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর যোগ খুঁজে পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। অভিযোগ ওঠে, এই স্কুলের জন্য একটি ভবন-সহ প্রায় ৩-৪ কাঠা জমি কেনেন কুন্তল। এলাকারই এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকায় তা কেনেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এবার জেলারই আরও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে কুন্তলের যোগ পাওয়া গেল বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সব অভিযোগই খতিয়ে দেখছে।