হাওড়া: জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার সন্দেহে দুই যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF)। একজনের নাম মহম্মদ সাদ্দাম, অন্যজনের নাম সইদ আহমেদ। ধৃতদের শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, সইদ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, বিদ্যাসাগর সেতুর কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। পরে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ, ফোন নিয়ে যায় পুলিশ। অন্যদিকে সরকারি আইনজীবী জানান, বাইকে যাওয়ার সময় তাঁদের আটক করা হয়। খিদিরপুরে তাঁদের গোপন বৈঠকের পরিকল্পনা ছিল বলেও জানতে পারে এসটিএফ। আটকের পর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ডেবিট কার্ড, ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্স পাওয়া গিয়েছে। এমনকী তাঁদের ল্যাপটপে জেহাদি কনটেন্টও পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধৃতরা অস্ত্র সংগ্রহের কাজ করছিল বলেও তথ্য উঠে এসেছে। ফান্ড জোগাড়ের কাজও করছিলেন। যদিও সমস্ত বিষয়ই তদন্তসাপেক্ষ।
সূত্রের খবর, হাওড়া থানা এলাকার ৫৫ নম্বর আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা সাদ্দাম। শিবপুরের গোলাম হোসেন লেনের বাসিন্দা সৈয়দ আহমেদ। এই দুই যুবককে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করেছে বলেই সূত্রের খবর। শুক্রবার রাতে এসটিএফ তল্লাশি চালায়। সূত্রের খবর, ভোর পর্যন্ত চলে তল্লাশি। ল্যাপটপ, মোবাইল-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করে তারা।
সাদ্দামের এক আত্মীয়র কথায়, “এসটিএফ গ্রেফতার করেছে রাতে। আমি তখন বাড়িতে ছিলাম না। আমার বৌদি ফোনে বলল এরকম লোকজন এসেছে। খুব তাড়াতাড়িই বাড়ি যাই। গিয়ে দেখি বাড়ির সামনে ভিড়। জিজ্ঞাসা করল আমি কে। আমিও বললাম, সাদ্দামের অভিভাবক আমি। তারপর বলল ওরা সার্চের জন্য। জানতে চাইলাম কীসের তল্লাশি। কিছু বলেনি। কোনও নথিও দেখায়নি। আমিও বললাম, আমি শিক্ষিত। এভাবে সার্চ করা যায় নাকি?”
তবে সাদ্দামের এক প্রতিবেশি রোশন আলি জানান, শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে নিয়ে যায়। প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে এলাকায় পাঁচতলা আবাসনের তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁরা। এলাকায় ওই যুবকের পরিচিতিও ভাল ছেলে বলেই। জঙ্গি সন্দেহে এই যুবকের গ্রেফতারিতে হতবাক পাড়ার লোকেরা।