কলকাতা: কিছুতেই চিংড়িহাটায় (Chingrighata) বেপরোয়া গাড়ির বাড়বাড়ন্ত আটকানো যাচ্ছে না। ফের দুর্ঘটনা রবিবার ভোরে। চিংড়িহাটা মোড়ের কাছে এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসীর কথায়, রবিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চিংড়িহাটা থেকে সেক্টর ফাইভগামী একটি প্রাইভেট গাড়ি ধাক্কা মারে নির্মীয়মাণ মেট্রো রেলের পিলারে। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে মোট চারজন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন মহিলা। প্রত্যেককেই স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বাইপাস থেকে সেক্টর ফাইভগামী একটি প্রাইভেট গাড়ি বেপরোয়া গতিতে ভোরবেলা আসছিল। সেই সময় চিংড়িহাটা থেকে বাঁক নিয়ে সেক্টর ফাইভের দিকে ঢোকার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। লাল রঙের গাড়িটির সামনের দিকটা পুরো দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে।
দু’দিন আগেই চিংড়িহাটা মোড়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। পরপর ৮ জনকে ধাক্কা দেয় একটি বেপরোয়া গাড়ি। ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিল্লি থেকে ফিরে সরাসরি এসএসকেএম হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় টুইট করে দুঃখ প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুতর আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। বাকিদের ৫০ হাজার টাকা করে সহযোগিতার কথা জানান তিনি। সকলকে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ মেনে চলার বার্তাও দেন।
I am saddened by the unfortunate road accident in Chingrighata.
GoWB has taken strict action against the errant driver. The injured have been admitted to Govt. Hospitals & are being treated free of charge.
I visited them at SSKM Trauma Care Centre today. (1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 8, 2022
The two victims who have been seriously injured will be given Rs. 1 Lakh as compensation, and the other 5 will be given Rs. 50,000 each.
I wish them all a speedy recovery.
I once again urge everyone to be mindful of road safety and reiterate ‘Safe Drive, Save Life’. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 8, 2022
চিংড়িহাটা দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশের কর্তারা। এলাকার লোকজন পুলিশের কাছে দাবি তোলেন, নিক্কোপার্ক থেকে চিংড়িহাটা পর্যন্ত যেন সমস্ত গাড়ির গতি কমানো হয়। তার জন্য যা উপায় বের করার তাও বের করতে আর্জি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ডিসি ট্রাফিক ইন্দ্রাণী দত্ত বলেন, “চিংড়িহাটায় বিধাননগর পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। চিংড়িহাটায় এখন দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটা কমেছে। তবে এই ঘটনা কেন ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এরইমধ্যে রবিবার ফের একই ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য একটাই, বেপরোয়া গতিই বারবার দুর্ঘটনার কারণ চিংড়িহাটায়।