কলকাতা: ক্রমাগত বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা (Heat Wave)। কোথাও তাপপ্রবাহ, কোথাও আবার তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। তেতেপুড়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত। বাড়ছে দুর্ভোগ। সোমবার থেকে অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল থেকে শনিবার ২২ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিকাশ ভবন। স্কুল শিক্ষা দফতর ও উচ্চশিক্ষা দফতর পৃথকভাবে দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি রাজ্যে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, স্বশাসিত/ রাজ্য / কেন্দ্র সরকার সাহায্য়প্রাপ্ত / পোষিত / রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে। এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বুঝে তা যে বাড়তে পারে সে ইঙ্গিতও রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তবে আপাতত ছুটি থাকলেও পরে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
সূর্যকে ঢেকে দিয়ে মাঝেমধ্যেই আকাশে মেঘের দেখা মিলছে। অনেকেই ভাবছে এবার বোধহয় দহনজ্বালা কিছুটা কমবে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, একেবারেই অন্য কথা বলছে। প্রথমে ১৬-১৭ তারিখ অবধি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ছিল। রবিবার আরও কিছুটা বেড়ে গিয়েছে সতর্কতার মেয়াদ। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে সব জেলাতেই।
কলকাতার পারদও থাকবে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এই পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ছে। শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বাচ্চা বড় সকলেরই। রাজ্যে তীব্র গরমের জন্যই সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই ছুটির জন্য পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে যে ছেদ পড়বে পরে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে তা পুষিয়ে দেবে প্রতিষ্ঠানগুলি।
তবে ইতিমধ্যেই একাধিক বেসরকারি স্কুল থেকে অভিভাবকদের কাছে বার্তা এসেছে অনলাইন ক্লাসের। সোমবার থেকে স্কুলে যেতে না হলেও অনলাইন ক্লাস করতে হবে পড়ুয়াদের, এই মর্মে দেওয়া হয়েছে নোটিস। কোভিড কালে স্কুলগুলি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে নানাভাবে অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। এবার সেই গ্রুপগুলিতেই অনলাইন ক্লাসের নোটিস দেওয়া হয়েছে।