BJP Meeting: আরএসএস ভবনে দিলীপ-সুকান্তকে ডাক, শুভেন্দু গেলেন পোর্ট গেস্ট হাউজের বৈঠকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 16, 2022 | 12:12 AM

BJP: কেশব ভবনের সমন্বয় বৈঠক ছিল মূলত আরএসএস সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠনগুলির মধ্যে সমন্বয়মূলক বৈঠক।

BJP Meeting: আরএসএস ভবনে দিলীপ-সুকান্তকে ডাক, শুভেন্দু গেলেন পোর্ট গেস্ট হাউজের বৈঠকে

Follow Us

কলকাতা: বৃহস্পতিবার আরএসএসের (RSS) কেশব ভবনে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কেন্দ্রীয় পদাধিকারী। আরএসএসের বিভিন্ন শাখা রয়েছে। তাদের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে এদিন বৈঠক হয় কেশব ভবনে। এ রাজ্যে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে, সংগঠনগুলির চিত্র নিয়ে আলোচনা হয়। মূলত এটি ছিল সমন্বয় বৈঠক। এই বৈঠকে বিজেপির তরফে ডাক পান বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। তবে এ বৈঠকে ডাকা হয়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে কেশব ভবনের বৈঠকের পরই আরও একটি বৈঠক হয়। যা হয় পোর্টের গেস্ট হাউজে। সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। ছিলেন সুনীল বনশল, বিএল সন্তোষও।

কেশব ভবনের সমন্বয় বৈঠক ছিল মূলত আরএসএস সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠনগুলির মধ্যে সমন্বয়মূলক বৈঠক। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে আরএসএসের বোঝাপড়া কতটা মজবুত রয়েছে, তা পরখও এই বৈঠকের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনের অন্দরে যে ক্ষোভ রয়েছে, বিশেষ করে পুরনো বিজেপি কর্মী, যাঁদের ভিত্তিই সংঘ পরিবার। তাঁদের সঙ্গে অন্য দল থেকে গিয়ে যোগ দেওয়া কর্মী কিংবা সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের যে মতপার্থক্যের অভিযোগ বিভিন্ন সময় ওঠে, সেগুলি এই বৈঠকে গুরুত্ব পায় বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে পোর্ট গেস্ট হাউজের বৈঠকে নানা বিষয়ের পর্যালোচনার সঙ্গে প্রকাশ্যে দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুর যে বিতর্ক, তা নিয়ে কথা হয় বলেই সূত্রের খবর। প্রকাশ্যে এভাবে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা যদি আকচাআকচিতে জড়ান, তা যে দলের নিচু তলার কর্মীদের মনোবলে ধাক্কা দেয় সে বার্তাই এদিন বিএল সন্তোষ-বনশলরা দেন বলে সূত্রের দাবি।

সম্প্রতি দিলীপ-শুভেন্দুর দ্বৈরথ প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকেও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘তারিখের রাজনীতি’ তিনি করেন না। দিলীপ-শুভেন্দুর এই কথার লড়াই যে শাসকদলকে হাতে গরম ইস্যু দিয়ে দিচ্ছে, তেমনটাই মত রাজনীতির কারবারিদের। বিষয়টি আয়ত্তের বাইরে যাওয়ার আগেই বনশল, সন্তোষরা রাশ ধরলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Next Article