Group C: ‘রুমাল’ হয়েছিল ‘বেড়াল’! Group C দুর্নীতির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সুবীরেশের নাম

Recruitment Scam: গ্রুপ সি মামলায় ইতিমধ্যেই চাকরি খুইয়েছেন ৮৪২ জন। গ্রুপ সিতে ওএমআর শিট কারচুপি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে কমিশনকে।

Group C: 'রুমাল' হয়েছিল 'বেড়াল'! Group C দুর্নীতির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সুবীরেশের নাম
সুবীরেশ ভট্টাচার্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 8:11 PM

কলকাতা: গ্রুপ সি (Group C) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা করেছিল সিবিআই। ১৬ জনের নামে সিবিআই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল। এবার যুক্ত হল আরও একটি নাম। ১৭তম নাম হিসাবে এবার উল্লেখ রয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের। তাঁর নামের উল্লেখ করেই এবার জমা পড়ল সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট। নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচাৰ্যকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরবর্তীকালে তাঁকে গ্ৰুপ সি মামলায় ট্যাগ করে ফের নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। আলিপুর আদালতে সেই গ্ৰুপ সি মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালে এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ। এবার চার্জশিটে তাঁর নাম।

গ্রুপ সি মামলায় ইতিমধ্যেই চাকরি খুইয়েছেন ৮৪২ জন। গ্রুপ সিতে ওএমআর শিট কারচুপি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে কমিশনকে। ‘রুমালকে বেড়াল’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হয়েছে কমিশনকে।

একইসঙ্গে এই ঘটনায় কমিশনের তরফে আদালতে তুলে ধরা হয়েছিল, সেই সময় কমিশনে থাকা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য এমন কাজ করে থাকতে পারে। এই মামলায় ৩ হাজারের বেশি ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম সুবীরেশের।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসি-র চেয়ারম্যান থাকাকালীন নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীর মার্কশিটের নম্বর বদল হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রমাণও রয়েছে। সিবিআই-কে তদন্তে তিনি সহযোগিতা না করার কারণেই গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।