কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের ফলপ্রকাশের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন ‘শান্তি’র কবিতা। বুধবার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় সেই কবিতা প্রকাশ হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এদিন বিকেলে নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি সবসময়ই শান্তি, সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। সর্বধর্ম, সর্ববর্ণের মানুষ নিয়ে চলার কথাই তিনি সবসময় বলেন। তারপরও নানা কুৎসা করা হয়।
মমতার কথায়, “জাগো বাংলায় আজ আমার একটা কবিতা বেরিয়েছে ‘শান্তি’। আমার যত কবিতা ‘কবিতাবিতানে’ আপনারা দেখবেন, সিংহভাগেই আমি সবসময় শান্তি, সম্প্রীতি, সংহতি, সংস্কৃতি, সভ্যতা নিয়ে কলম ধরেছি। কারণ এটা আমার প্রিয়। ঔদ্ধত্য জীবনের উপহার নয়/ নমনীয়তা জীবনের অলঙ্কার/ অহংকার প্রাণের শেষ কথা নয়, মিঠেভাষা সভ্যতার জোয়ার।”
এদিন সংবাদমাধ্যমের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, একটা আরশোলা দেখা গেলেও সংবাদমাধ্যমে তা বিশাল করে দেখানো হতো। তাঁর দাবি, তিনি একা একা লড়াই করে উঠে এসেছেন বলে নানা সময় তাঁকে নানাভাবে আক্রমণ করা হয়। বলেন, “আমার সঙ্গে আপনাদের কিসের ঝগড়া? কিসের বিদ্বেষ, কিসের রাগ? আমি একজন সাধারণ পরিবারের মেয়ে বলে? নাকি আমি দরিদ্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব করি বলে?”
শান্তি কবিতায় মমতার কলমে উঠে এসেছে, ‘চেতনা যেমন, চেতনা আনে/ বিবেক আবেগ আনে/ কথার ভাষা কথার আদরে/ ভাষা সংস্কৃতিকে জানে/ মাটির পৃথিবীর কাছাকাছি বাস্তবে থাকতে হলে/ মাটির মাঝারে মানুষ সত্য/ অহংকারকে যেতে হবে ভুলে।’ এই কবিতার একেবারে শেষে মমতা লিখেছেন, ‘বাস্তব জীবনের মানসিক শান্তি/ সব শান্তির সেরা/ মানসিক শান্তি যদি হারিয়ে যায়/ তবে হয় না শান্তিতে ফেরা।’