কলকাতা: গত সপ্তাহেই প্রয়াত হন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বহুদিনের রাজনৈতিক সতীর্থ। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মমতা শোকবার্তা দিয়েছিলেন। সোমবার নজরুল মঞ্চের সভা থেকে আরও একবার মনে করলেন তাঁকে। একইসঙ্গে দলের নেতা, কর্মীদের, বিশেষ করে যাঁরা বয়সে প্রবীণ তাঁদের বারবার শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা বলেন মমতা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বয়স্ক লোকজনদের যেন কখনও অবহেলা না করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কারও যেন চিকিৎসার অসুবিধা না হয়। কেউ বুড়ো হয়ে গিয়েছে, তাঁকে দেখি না, এটা ঠিক নয়। তাঁরা আমাদের মানুষ করেছেন। তাঁদের সম্মান দিয়ে কাজটা আমি করব, এটাই আমার বক্তব্য। ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখ বিধানসভা শুরু হবে। সুব্রত সাহা মারা গিয়েছেন। সাধন পাণ্ডে, সুব্রতদাও মারা গিয়েছেন। দলকে খুব ভালবাসতেন তাঁরা। এরকম অনেক সহকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। অনেককে কোভিডে হারিয়েছি। তাঁরা ফিরে আসবেন না, তবে তাঁদের ফেলে যাওয়া কাজ করতে হবে।”
নতুন প্রজন্মকেও এদিন বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনওরকম হতাশা যেন মনে জায়গা না পায়, সে কথাই বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে বলব ডিপ্রেশনের কোনও জায়গা নেই। বছরে একবার করে শরীরের চেকআপ করবেন। এই যে সুব্রত সাহা, কার্ডিয়াক সমস্যা, ও চেকই করত না। একটু নজরদারি থাকলে আরও কয়েক বছর বেঁচে যেতে পারত। বয়স তো কিছু হয়নি।”
একইসঙ্গে এদিন কথায় কথায় উঠে আসে সিএম জাটুয়া, কল্লোল খাঁয়ের কথা। দু’জনেরই বয়স হয়েছে। সঙ্গে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এদিন সভায় ছিলেন তাঁরা। নাম করেই বলেন, “সিএম জাটুয়ার অনেক বয়স হয়েছে। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। একটু ভাল করে হাসপাতালে দেখিয়ে নিন।” এরপরই বলেন, “কল্লোল খাঁ জীবনে হাসপাতালে যায় না। হার্টের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ডাক্তারখানায় যেতে ভয় পায়। নিজেকে আগে সুস্থ রাখো। তুমি ডাক্তার দেখাও আগে আমি বলে দিলাম।”
মমতার কথায়, এখন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েই বেশি মৃত্যু হচ্ছে। বলেন, “আমার গ্রামের যে ছেলেটা আমার এখানে থাকে, ওর ছেলের বয়স ২৭ বছর। তার কী প্রবলেম ছিল যে সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মারা যাবে? তার প্রেশার বেশি ছিল, কেয়ার করেনি। তিনটে চারটে করে ডিম খেত। ব্যস! একদিন গল্প করতে করতে নুইয়ে পড়েছে। বুঝতে পারেন না প্রেশার বাড়লে গা গোলাবে, ঘাড়ে ব্যথা করবে। কোনও তথ্য় জানতে ইউটিউব দেখবেন। সব ঠিক দেয় তা নয়। দু’ তিনটে দেখবেন। দেখে একটা ধারণা তো হবে। আমি এখনও খনার বচন মানি। খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল।”