Attack on Behala: বেহালায় হাড় হিম করা ঘটনা, বাড়িতে ঢুকে সাতজনকে পর পর কোপ
Behala News: অভিযোগ, এলাকারই এক পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল ওই দোকানির। এদিন সেই গোলমাল চরম আকার নেয়।
কলকাতা: হাড়হিম করা হামলা সরশুনায় (Behala Sarshuna)। ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কোপ মারার অভিযোগ। ছুরির আঘাতে জখম হয়েছেন সাতজন। শনিবার সরশুনার রাখাল মুখার্জি রোডে বেলা ২টো নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। অভিযোগ, এলাকারই এক পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল ওই দোকানির। এদিন সেই গোলমাল চরম আকার নেয়। অভিযোগ, এরপরই বাড়িতে ঢুকে ধারাল কাটারি দিয়ে কোপ মারতে থাকেন পরিবারের লোকজনকে। যাঁরাই বাধা দিতে আসেন, তাঁদের উপরই ওই দোকান মালিক ধেয়ে যায় বলে অভিযোগ। আহত হন মোট সাতজন। এর মধ্যে চারজন মহিলা, তিনজন পুরুষ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সরশুনা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তের নাম প্রদীপ অধিকারী (৫০)। রাখাল মুখার্জি রোডেরই তিনি বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আহতদের বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলেও বিশাল পুলিশবাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যবসায়ীর ব্যবহার চিরকালই খারাপ। এলাকায় বহু পরে এসে উনি দোকান করেন। কখনও পাড়ার লোকজন তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন না। উল্টে তিনি যখন নতুন দোকান করলেন সবরকম সহযোগিতাও করেন। এলাকার লোকজনেরই দাবি, প্রদীপ অধিকারী প্রথম থেকেই একটু হিংসাত্মক। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও হামলা চালিয়েছেন। ইট ছুড়ে মারতে গিয়েছেন কখনও, কখনও আবার লাঠি নিয়ে তেড়ে গিয়েছেন। তবে এবার ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটান। স্থানীয় সূত্রে খবর, সরশুনা থানার অন্তর্গত রাখাল মুখার্জি রোডে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে পাঁচিলের বাউন্ডারি দেওয়া নিয়ে বিবাদ চলছিল। এদিন তা-ই চরমে পৌঁছয়।
অকুস্থলের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের ছোপ। এলাকায় পড়ে রয়েছে ভাঙা চুরি, উপড়ে আনা মাথার চুল, চটি, জুতো। পুলিশ সূত্রে খবর, আহতদের নাম পরিমল মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সাথী মুখোপাধ্যায়, চঞ্চল মুখোপাধ্যায়, পাপিয়া মুখোপাধ্যায়, সঞ্জয় ঘোষ ও সুমিতা ঘোষ।