কলকাতা: মৌসম ভবনের পূর্বাভাস মতো শনিবার দুপুরেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ৮ মে সেই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের রূপ নেবে। পরদিন অর্থাৎ ৯ মে তৈরি হবে গভীর নিম্নচাপ। এরপর আদৌ সে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি জোগাতে পারবে কি না তা দেখার। তবে, ঘূর্ণিঝড় হোক বা না হোক তুমুল দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা নেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের। আর তা শুরু হবে ৮ মে থেকেই। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার (৮ মে ২০২৩) থেকে এ সংক্রান্ত অনেক তথ্যই দিতে পারবে হাওয়া অফিস। বিশেষ করে নিম্নচাপের গতিবিধি এবং ঝড়ের পূর্বাভাস সোমবার থেকেই আরও জোরালভাবে দেবে হাওয়া অফিস। তবে এখনও অবধি যা পূর্বাভাস তাতে বাংলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। একইসঙ্গে এখনও অবধি আরও ভাল খবর, রেহাই মিলতে পারে সুন্দরবন, সাগর পাড়ের এলাকাগুলির। প্রত্যেক ঝড়ে যেভাবে এই এলাকাগুলি লন্ডভন্ড হয়, ফি বছর ঝড়ের পূর্বাভাসে কপাল পোড়ার গন্ধ পান এখানকার মানুষ। তবে চরম গরমে পুড়তে হবে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে। হু হু করে চড়বে তাপমাত্রা। আপাতত আন্দামান-নিকোবরের গা ঘেঁষে উত্তরে সরবে নিম্নচাপ। ফলে দ্বীপপুঞ্জে প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে।
যদিও গরম বেড়েছে বাংলাজুড়ে। ফের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা। রবিবার বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। আসানসোলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪০-এর চৌকাঠে একাধিক জায়গার তাপমাত্রা। শ্রীনিকেতনে ৩৯.৬ ডিগ্রি, বর্ধমানে ৩৯.৫ ডিগ্রি। আবার ৩৮ ডিগ্রিতে কলকাতার পারদ। আলিপুরের পারদ পৌঁছল ৩৮.৪ ডিগ্রিতে। শেষ ১৭ দিনের মধ্যে রবিবারই উষ্ণতম দিন কলকাতায়। আলিপুরের চেয়েও বেশি গরম দমদম, সল্টলেকে। সল্টলেকে তাপমাত্রা ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দমদমে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গরম বাড়লেও এখনই তাপপ্রবাহের আশঙ্কা নেই, জানাল আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে ১১ মে পর্যন্ত বাংলার উপকূলে দুর্যোগের কোনও সম্ভাবনা নেই।
তবে মোখার কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে রাজ্য। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে মক ড্রিল শুরু করেছে প্রশাসন। প্রস্তুত লালবাজারও। কলকাতা পুলিশের তরফে খোলা হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম। সেখানে থাকবে বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগের ব্যবস্থা। চালু হয়েছে বেশ কিছু নম্বর। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করা হয়েছে।