Debjani Mukherjee: টিপটপ সেজে মাকে দেখতে এলেন ‘সারদা’র দেবযানী, বাড়িতে এল কেক-কুকিজ

সুজয় পাল | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 25, 2023 | 11:02 PM

Saradha: ২০১৩ সালের ঘটনা। কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। পরে সিআইডি তদন্তভার নেয়। দেবযানীর মায়ের অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়েকে শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে সিআইডি।

Debjani Mukherjee: টিপটপ সেজে মাকে দেখতে এলেন সারদার দেবযানী, বাড়িতে এল কেক-কুকিজ
বাড়ির বাইরে দেবযানী।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: মাঝে ১০ বছর। বাড়ি ফেরেনি মেয়ে। কারাগারে দিনরাত কাটে তাঁর। রবিবার ১০ বছর পর মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য বাড়ি ফেরার অনুমতি পেয়েছিলেন সারদাকাণ্ডে (Saradha Scam) বিচারাধীন বন্দি দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukherjee)। মা অসুস্থ। তাঁকে দেখতেই দমদম মহিলা সংশোধনাগার থেকে এদিন প্যারোলে মুক্ত হয়ে এসেছিলেন ঢাকুরিয়ার বাড়িতে। বেলা ১২টা নাগাদ বাড়িতে ঢোকেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টায় বেরিয়ে আসেন সেই বাড়ি থেকে।

পুলিশের গাড়িতেই এদিন দেবযানী এসে পৌঁছন বাড়ির এলাকায়। তবে সরু রাস্তা হওয়ায় এরপর হেঁটেই বাড়ি অবধি যেতে হয়। পরণে কালো সালোয়ার কুর্তা। উঁচু করে বাঁধা চুল। মাথায় ওড়না, হাতে ঝোলানো ব্যাগ। দেবযানী যখন রাস্তায় হাঁটছেন, উঁকিঝুঁকি এলাকার লোকজনের। কেউ রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়ে, কেউ আবার গেটের সামনে থেকে দেখছেন।

গটগট করে হেঁটে বাড়ির দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে গেলেন দেবযানী। এরপরই সজোরে বন্ধ হল দরজা। সে সময় একটি কথাও বলেননি তিনি। সন্ধ্যাবেলা যখন বেরোলেন তখন সাংবাদিকরা তাঁর ‘বন্দিদশা’ নিয়ে বারবার প্রশ্ন করলেও মুখে কুলুপ ছিল। তবে মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করায় কুলুপ সরল। বললেন, “মোটামুটি আছে। ভাল না। অনেক রকমই সমস্যা।” এরপরের প্রশ্ন, মায়ের সঙ্গে কী কথা হল? দেবযানীর জবাব, “সেটা তো মায়ের সঙ্গে কথা। সেটা কি পাবলিক করার কথা?”

২০১৩ সালের ঘটনা। কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে। পরে সিআইডি তদন্তভার নেয়। দেবযানীর মায়ের অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়েকে শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে সিআইডি। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দেন তদন্তকারীরা।

এদিন এ প্রশ্নও করেন সাংবাদিকরা। দেবযানীকে সংশোধনাগারে কোনওরকম চাপ দেওয়া হচ্ছে? খানিকটা চুপই থাকেন প্রথমে। তারপর বলেন, “আমার মা অসুস্থ বলে আমি বাড়ি এসেছি। আমাকে আপনারা এ ধরনের প্রশ্ন করে বিব্রত করবেন না।” এরপর প্রিজন ভ্যানে উঠে সংশোধনাগারের পথে রওনা দিলেন মুখুজ্জ্যে বাড়ির বড় মেয়ে।

সূত্রের খবর, এদিন দেবযানীর মা, বাবা ছাড়াও বাড়িতে ছিলেন তাঁর ছোট বোন। দুপুরে তাঁর জন্য যেমন বিশেষ খাবারের আয়োজন ছিল, তেমনই ছিল বিকেলের স্ন্যাক্স। অনলাইনে দেবযানীর নামে ডেলিভারি হয়েছে নামি ব্র্যান্ডের কুকিজ ও কেক। অন্য একজনের নামেও খাবার ডেলিভারি হতে দেখা গিয়েছে। এদিন দেবযানীকে চার মহিলা পুলিশ জেল থেকে নিয়ে আসেন। বাড়ির বাইরে নিরাপত্তার জন্য ছিল কসবা থানার এক ইন্সপেক্টর-সহ জনা দশেক পুলিশ।

Next Article