কলকাতা: নতুন বছরে নতুন বাংলার গড়ার ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। একইসঙ্গে বলেন, যখন তখন পরিবর্তন হতে পারে রাজ্যে। শনিবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গোটা দুনিয়ায় পরিবর্তন হচ্ছে। কোথাও ভাল, কোথাও খারাপ। ভারবর্ষ যেমন এগোচ্ছে, চাইব বাংলাও তেমন এগোক। হাতে হাত মেলাক। নতুন বছরে সমস্ত গ্লানি, হিংসা, দুর্নীতি ভুলে নতুন বাংলা গড়ার শপথ নেব সবাই। আমি আশা করব মানুষ যদি মনে করেন নতুন বাংলা গড়ব সবাই।” একইসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, যে কোনও সময় বদল হতে পারে। দিলীপ ঘোষের কথায়, “পরিবর্তন তো যখন তখন হতে পারে, হবেও। মানুষ সেদিকে তাকিয়ে আছে। গা জোয়ারি, পুলিশ, গুন্ডা, কেস কাছারি দিয়ে মানুষকে বেশিদিন আটকানো যাবে না। এতদিন ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়েছে সকলে জানত। লোক ভয়ে বলছিল না। আজ রাস্তায় বেরোচ্ছে মানুষ। চোখে চোখ রেখে বলছে আমরা কিছু পাইনি। ফলে পঞ্চায়েতের নেতারা পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে চাইছেন। পালিয়ে কোথায় যাবেন? যা টাকা পয়সা চুরি করেছেন, সব মানুষ কেড়ে নেবে।”
দিলীপ ঘোষের কথায়, বিজেপি এখানে মানুষকে সুশাসন দেওয়ার জন্য রাজনীতি করছে। বাংলার মানুষকে সেই সুশাসন দিতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। দিলীপ ঘোষ বলেন, “কিছু না দিয়ে দেখানোর রাজনীতি চলবে না বেশিদিন। অন্যের কাছ চেয়ে এনে মানুষকে ভিক্ষা দেওয়ায় কী কৃতিত্ব আছে? সারা দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, প্রতিটা রাজ্য এগোচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে যাচ্ছে। খালি ভাষণে শুনি বাংলায় এই হচ্ছে, সেই হচ্ছে। কোথাও কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। এ ধরনের নেগেটিভ পলিটিক্স আমার মনে হয় বন্ধ হওয়া দরকার। না হলে বাংলার মানুষ সেটা বন্ধ করে দেবেন।”
গত কয়েকদিনে একাধিকবার রাজ্যের পালাবদল নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে যেভাবে দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে, তাতে শাসকদল যথেষ্ট চাপে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ-অনুব্রতরা। যদিও শাসকদলের দাবি, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। এভাবে মানুষের মন পাওয়া যাবে না বলেও দাবি শাসকদলের নেতাদের।