Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ED: সরকারের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে তলব ইডির : সূত্র

ED: এর আগে ১ মার্চ প্রায় ২৩ ঘণ্টা সঞ্জয় বসুর আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।

ED: সরকারের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে তলব ইডির : সূত্র
ইডির দফতরে তলব আইনজীবীকে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 5:45 PM

কলকাতা: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি, এমনটাই খবর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ মামলার আইনজীবী সঞ্জয়। রাজ্য সরকারের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী তিনি। বুধবার তাঁকে তলব করা হয়েছে। এর আগে ১ মার্চ প্রায় ২৩ ঘণ্টা সঞ্জয় বসুর আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। মূলত দু’টি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলার সূত্রে এই তল্লাশি চলেছিল। শুধু ওই আইনজীবীর বাড়িতেই নয়, অন্যান্য জায়গায়ও চলে তল্লাশি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেই তল্লাশি চলে। ইডি পরবর্তীতে জানায় এই মামলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস। সেই সূত্র ধরেই বুধবার কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে সঞ্জয় বসুকে দেখা করতে বলা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

শহরের হাইপ্রোফাইল আইনজীবী সঞ্জয় বসু। ১ মার্চ দিল্লি থেকে ইডির এক প্রতিনিধি দল আলিপুর বর্ধমান রোডের অভিজাত আবাসনে ওই আইনজীবীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে ঢোকে। তাঁর আবাসন বোগেন ভিলার বাইরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোতায়েন ছিল পুলিশও। রাতভর চলে তল্লাশি। রাত আড়াইটে নাগাদও এক ইডি কর্তাকে ওই আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। পরদিন বেলা অবধি তল্লাশি চলে বলে সূত্রের দাবি।

এই তদন্তে কিছু নথি ইডির আধিকারিকরা নিয়ে যান বলেই সূত্রের খবর। সঞ্জয় বসুর বাড়িতে ইডির তল্লাশি নিয়ে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে ২ মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমার সরকারি আইনজীবী সঞ্জয়। অনেক সরকারি কাগজ ওর কাছে আছে। মামলার কাগজ। গতকাল সকাল থেকে মেঘালয়ের ফল ঘোষণা পর্যন্ত তল্লাশি চলছে। ভাবা যায়? এটা কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়? ও আমারও আইনজীবী, আমার সরকারের আইনজীবী।”

একইসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, “আমি জানতে চাই ‘কেয়া কেয়া মিলা, কেয়া কেয়া লেকে গিয়া?’ বলছে, ‘কুছ নেহি মিলা। খালি আপলোগোকে বারে মে কোয়েশচেন পুছ রহা থা। ওউর হামারে ঘর কো তছনছ করতে গিয়া।’ একজন আইনজীবী, যদি কোনও কেস লড়েন, তাঁর জন্য তো টাকা নেবেনই। এটাই তো তাঁর অধিকার। একটা কেসে ও টাকা ফেরতও দিয়ে দিয়েছে। এটা শুধু মানুষকে হেনস্থা করার জন্য। সর্বক্ষেত্রে বিরক্ত করার জন্য।”