কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করলেন তাঁর আইনজীবী। সোমবার আলিপুর সিবিআই আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘দু’টি চার্জশিট দেখলেই বোঝা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে ট্রায়াল হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। প্রথম চার্জশিটে ১৬ জন অভিযুক্ত। পরের চার্জশিটে ৯ জন অভিযুক্ত। সিবিআই তো পাশ মার্কসই তুলতে পারেনি। এতজন নট অ্যারেস্টেড কেন? তারা অভিযুক্ত, ষড়যন্ত্রকারী। তাহলে নট অ্যারেস্টেড কেন?’ আদালতে এদিন পার্থ বিচারপতির সামনে বলেন, ‘আমি কেন জেলে সাফার করব? ইন্টারভিউ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট, আমি চাকরি দিয়েছি, তার কোনও প্রমান নেই। যে কোনও শর্তে অন্তর্বর্তী জামিন চাইছি।’ একইসঙ্গে পার্থ বলেন,’১৬ জনের মধ্যে মাত্র ৭ জনকে ধরেছে। করছে কী? সিবিআই তাদের অকর্মণ্যতা ঢাকার জন্য যাতা করছে।’
পার্থর এই বক্তব্যের পর বিচারকও কিছুটা ভর্ৎসনার সুরেই সিবিআইয়ের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আগেই এই বিষয়ে সিবিআইকে বললাম।’ পার্থর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ‘সিবিআই-ইডি যুগলবন্দি করছে। আগামিকালকে অ্যারেস্ট হবে, আগেই মিডিয়া বলে দিচ্ছে।’ পাল্টা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী বলেন, ‘সিবিআই পুরো চেইন দেখতে পাচ্ছে। এর শিকড় অনেক গভীরে। আরও যে কত যোগাযোগ আসবে বুঝতে পারছি না। কেস ডায়েরি দেখলেই বুঝবেন। সেখানে পরিষ্কার টাকা কোথা থেকে কোথায় গিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে। সম্প্রতি তারা কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টে তুলে ধরেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সম্পত্তির হিসাব। শুধু তাই নয়, ইডির বক্তব্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ বিপুল টাকা ও বহুমূল্যবান গয়না পাওয়া গিয়েছে। এমনকী বিপুল টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ছিল। সিবিআই পার্থর এই সম্পত্তি ও প্রভাবশালী তকমাকেই সামনে রেখে জামিনের বিরোধিতা করছে। এদিন বিচারক কী রায় দেন সেদিকেই নজর।