Gopal Dalapati-Haimanti: ‘হৈমন্তী ইনোসেন্ট, ওকে কলঙ্কিত করতে চাইছে’, সব দোষ কুন্তলের ঘাড়েই ঠেললেন গোপাল
Gopal Dalpati: গোপাল জানান, হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর ডিভোর্সের মামলা প্রায় শেষ। আইনি কিছু বিষয় বাকি রয়েছে।
কলকাতা: অবশেষে আবার ‘ভেসে’ উঠলেন গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati)। এর আগে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর গোপালকে সামনে আসতে দেখা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, এবার সিবিআই দফতরে ফোন করেছেন গোপাল। জানিয়েছেন, দিল্লিতে আছেন। ২ মার্চ ফিরবেন। এরপরই টিভি নাইন বাংলায় যোগাযোগ করে গোপালের সঙ্গে। সেখানে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন গোপাল দলপতি। বলেন, কুন্তল ঘোষ তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে গোপাল জানান, তাঁর ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন কুন্তল। তাঁর এবং হৈমন্তীর কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যোগ নেই বলেও জানান তিনি। শনিবার গোপাল দলপতি বলেন, “আমার ২ তারিখ পর্যন্ত কাজ আছে। ২ তারিখের পরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদি সিবিআই মনে করে আমি দুর্নীতিতে আছি, সিবিআইয়ের সদর দফতরেও আমি যেতে পারি। আমার কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু দিল্লিতে অন্যান্য যে কাজ আছে সেগুলি না করে যেতে পারব না।”
একইসঙ্গে হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর ‘রিলেশনশিপ স্টেটাস’ নিয়েও এদিন জানান গোপাল দলপতি। গোপাল বলেন, “হৈমন্তী তো আলাদা থাকে। ডিভোর্সের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে লিগ্যালি ব্যাপারটা পুরোপুরি শেষ হয়নি।” একইসঙ্গে গোপাল দাবি করেন, হৈমন্তীর এই কুন্তল-তাপস মামলায় দূর দূরান্ত অবধি কোনও যোগ নেই।
গোপালের কথায়, “ও জানেই না বিষয়টা। এত কিছু যে হচ্ছে ও কোনও কিছু জানেই না। ওর দুনিয়া আলাদা। একটা ইনোসেন্ট মেয়েকে এরা সব ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। বাজে একটা রটনা হচ্ছে। ওকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। পুরো মিথ্যা এগুলো। প্রমাণ থাকলে দিক না।”
গোপালের দাবি, কুন্তল তাঁর একটি ফাইল দেখে ফেলেছিলেন। তাতে হৈমন্তীর নাম থাকায় এই নাম নিয়ে এত বদনামের চেষ্টা করছেন। গোপাল দলপতি বলেন, “আমি ফাইল দিতে গিয়েছিলাম। তখন কুন্তল ওখানে ছিল। আমার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের সব জিনিসগুলো টেবিলের উপর দেখতে শুরু করে। তাই এই নামটার কথা বলল। নামটা জানতই না। হাওয়ায় ভাসিয়ে দিল নামটা। ইডি তো প্রমাণ করল কুন্তল এক অভিনেত্রীকে তিনটে ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছে। বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। কই তা নিয়ে তো কোনও আওয়াজ নেই। কী হচ্ছে এসব?”