কলকাতা: রাত ১১টার কিছু পর। ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা নিয়ে গার্ডেনরিচ থেকে বের হল ট্রাক। পাঁচটি ট্রাঙ্কে এই টাকা সাজিয়ে তা নিয়ে ঘাড়ে করেই সিকিউরিটি সার্ভিসের ট্রাকে তোলেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এরপর রওনা দেন স্ট্র্যান্ড রোডে এসবিআইয়ের হেড অফিসের পথে। সিআরপিএফের কড়া নিরাপত্তায় শনিবার রাতে ট্রাঙ্কগুলি একে একে বের করে নিয়ে আসা হয়। সরু গলি, আশেপাশে বাড়ি। যে যেখান থেকে পেরেছেন, এলাকার লোকজন উঁকি মেরে চাক্ষুষ করেছেন সেই দৃশ্য। সকলেই হতভম্ব। গত জুলাইয়ে হরিদেবপুরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ট্রাঙ্ক বোঝাই টাকা বের করার দৃশ্য টেলিভিশনে দেখেছিলেন তাঁরা। দু’মাসের মধ্যে সে ছবি যে চোখের সামনে দেখতে পাবেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাঁদের।
কমলা সবুজে রং দেওয়ালে। তার মাঝে সাদা রঙের দরজা। সেই দরজার এক পাল্লায় লেখা এফ সেভেন (F7)। অন্য পাল্লায় লেখা এনএ খান (NA KHAN)। ১১টা পার করে সেই দরজা খুলল। দরজার সামনে সিআরপিএফে ছয়লাপ। সামনে ইডির আধিকারিকরা, পিছনে ট্রাঙ্ক টেনে নিয়ে আসছেন সিকিউরিটি সার্ভিসের কর্মীরা। যাঁদের দায়িত্ব এই টাকা এসবিআই অবধি পৌঁছে দেওয়া। নীল সবুজ গেঞ্জি পরা একদল ছেলে, তাঁরাই কাঁধে করে বের করে আনে ট্রাঙ্কগুলি। পর পর পাঁচটি ট্রাঙ্ক বের করে তোলা হয় ট্রাকে। প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা এদিন উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে।
টাকা ব্যাঙ্ক অবধি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা সংস্থার এক কর্মী জানান, “পাঁচটা ট্রাঙ্ক আছে। এবার খালি না ভর্তি কী বলি। ভর্তিই এল। স্টেট ব্যাঙ্কে যাচ্ছে টাকা। টোটাল কত টাকা সেটা আমরাও বলতে পারব না। ওটা ইডি জানে, ব্যাঙ্কের লোকেরা জানে। আমাদের যেটুকু কাজ ছিল সেটাই করলাম।”