কলকাতা: হিংসা, হানাহানি, রক্ত ঝরিয়ে শেষ হয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত ভোট। এবার ফল ঘোষণার পালা। মঙ্গলবার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের গণনা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে সোমবার রাত ৯টা নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর ছাড়েন কমিশনার রাজীব সিনহা। যাওয়ার আগে জানিয়ে যান, মঙ্গলবারের জন্য কমিশন সর্বতোভাবে প্রস্তুত। সোমবার ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন ছিল। নির্বাচন কমিশনার জানানা, ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ রিপোলিংও শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে ভোটপর্বে মৃত্যু নিয়ে চূড়ান্ত সংখ্যা জানতে চাওয়া হলে সে জবাব দিতে পারেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। বলেন, “অফিশিয়াল রিপোর্ট এখনও পাইনি আমরা।”
রবিবার রাত অবধি ১০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে কমিশন। এদিকে সোমবার সকালেও কোচবিহার, পূর্ব বর্ধমান থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। কমিশনের খাতায় ভোটের মৃত্যু এখনও অবধি ১০ থাকলেও বেসরকারি হিসাব বলছে এই সংখ্যাটা ভোটের দিন থেকে ধরলে ২০ জনের বেশি। ভোট পূর্ববর্তী হিংসার হিসাব ধরলে সংখ্যা আরও বাড়বে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ইতিমধ্যেই ভোটের হিংসা নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুর তুলেছেন। সোমবার তিনি বলেন, “মৃত্যুর মিছিল থামার নেই। ৪১ জন মানুষ গণতন্ত্রের উৎসবে নিজেদের বলি দিলেন। এতো অস্ত্র কোথা থেকে এল, আমরা এনআইএ তদন্ত চাইব। এত মানুষের মৃত্যুর জন্য সিবিআই তদন্ত দাবি করব।”
এই হিংসার তদন্তে ভোটের ফলপ্রকাশের দিনই রাজ্যে আসছে বিজেপির এক প্রতিনিধি দলও। দিল্লি থেকে টিম পাঠানো হচ্ছে। রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে সেই দলে থাকছেন তিন বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায়, সত্যপাল সিং এবং রেখা ভার্মা। রিপোর্ট দেবেন জেপি নাড্ডাকে। যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, বিরোধীরা হারবে জেনে কুৎসা করছে। তাঁর কথায়, অবাধে নির্বাচন হয়েছে। ৬১ হাজারের মতো বুথে ৬০টা বুথে ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৮-৯টা বড় ঘটনা বলে দাবি কুণালের।