কলকাতা: এক হুমায়ুনে রক্ষে নেই, দোসর আরও এক হুমায়ুন। মেদিনীপুরের ডেবরার বিধায়কের পর এবার সরব মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য প্রশাসন ও দলকে একইসঙ্গে বিঁধলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। হুমায়ুন কবীরের কথায়, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যেটা বলে, সেটা আমি শাসকদলের বিধায়ক হয়েও বলছি প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনার আরও কড়া হতে পারত। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতিদের যে নির্দেশ তা মেনে চলেননি। এটা গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে খুবই মারাত্মক ও বিপজ্জনক। আমি চাই মানুষ তাঁর নিজের পছন্দের প্রার্থীকে, পছন্দের দলকে ভোট দিক। সেখানে কাউকে শক্তি দিয়ে আটকে দেওয়া, জোর করে সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য করতে আমি শিখিনি। ছোট থেকে রাজনীতি করছি। এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী না।”
এর আগেও একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে সুর তুলতে শোনা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের হুমায়ুনকে। ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে এই কবীরই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, জেলার সাংগঠনিক সভাপতিকে অপসারণ করতে হবে। না হলে দলেরই পার্টি অফিস ঘেরাও করবেন। এমনকী দলনেত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই হুমায়ুনই বলেছিলেন, জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় থাকলে, এরপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার হুমায়ুন নেবেন। আবারও সেই হুমায়ুনের সুর গরম।
অন্যদিকে এদিনই এই ভোট নিয়ে সরব হয়েছেন মেদিনীপুরের ডেবরার বিধায়ক আরেক হুমায়ুন কবীরও। তিনি এদিন বলেন, “আমরা সিস্টেমটা পাল্টানোর চেষ্টা করছি, তাও পারছি না। কারণ, সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে এরকম হয় বলে আমি শুনিনি। আগে বিহার, উত্তর প্রদেশে সাংঘাতিক ঝামেলা হত। আমাদের বাংলা হয়ত একটু ভাল হয়েছে। তবে আরও ভাল করার জায়গা রয়েছে। বিরোধীরা তো গন্ডগোল করবেই। সবসময়ই বিরোধীরা ঝামেলা পাকিয়ে মাইলেজ নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা এমনিই অনেক ভোটে জিতব। কিছু ভোট তো বিরোধীরা পাবেই। এটা তো গণতন্ত্রের একটা প্রসেস।”