কলকাতা: এবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রাথমিকের আন্দোলনকারীরা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিল আদালত। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। পর্ষদের মামলা সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চান টেট উত্তীর্ণরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বৃহস্পতিবারই। রাতেই তাঁদের আইনজীবী জানান, মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “শুক্রবার সকাল ১০টায় এই মামলা ফাইল করার জন্য রেজিস্ট্রি খোলা থাকবে এবং এই মামলা সকাল ১০টার সময় ফাইল হবে। এই যে নির্দেশ, যেভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই কথা আদালতের সামনে তুলে ধরব। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এটা। এইভাবে আদালতকে সম্পূর্ণভাবে অন্ধকারে রেখে, আদালতের কাছে তথ্য় লুকিয়ে, এই যে ছেলেমেয়েরা যাঁরা গণতান্ত্রিক পথ অবলম্বন করতে চায়, সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এটাই আদালতের কাছে বলব।”
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মামলা করেছিল হাইকোর্টে। তাদের বক্তব্য ছিল ৯ অক্টোবর থেকে পর্ষদের অফিস এপিসি ভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই ধারা বলবৎ রয়েছে এই অফিস থেকে কিছুটা এগিয়ে এসে বেসরকারি হাসপাতালের সামনেও। কিন্তু সেখানে ধরনা চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই মামলার শুনানি চলে বিচারপতি লপিতা মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। আদালত নির্দেশ দেয় পর্ষদ অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা মেনে চলতে হবে। দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা যাতে অবাধে প্রবেশ করতে পারেন, পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বলবৎ থাকবে বলেও সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়।
এদিকে ১৪৪ ধারা জারি মানেই সেই চত্বর কার্যত ফাঁকা করে দিতে হবে। পাঁচজনের বেশি একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবেন না। এই নির্দেশকে সামনে রেখেই বিকেলের পর থেকে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তৎপরতা বাড়তে শুরু করে করুণাময়ী চত্বরে। মামলাকারীদের আদালতের কাগজে সই করানো হয়। পাশাপাশি মাইকে ঘোষণা করা হয় এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য। যদিও মামলাকারীরা তাতে রাজি হননি। সরেননি অবস্থানস্থল থেকে। বরং আদালতে গিয়েছেন সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। আদালত শুক্রবার মামলা দায়েরের অনুমতি দিল। এরপর শুনানি।