কলকাতা: জামিন পেলেন অরুণিমা পাল-সহ ২৯ জন চাকরি প্রার্থী (Primary TET)। বুধবার তাঁদের গ্রেফতার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁদের তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। কোর্ট তাঁদের জামিন দেয়। তবে এই চাকরি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে ২৯ জনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও রয়েছে অস্ত্র নিয়ে হিংসা ছড়ানো, অবৈধ জমায়েত, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, মারধর, মানুষের চলাচলের পথ আটকানো, কর্তব্যরত পুলিশকে আঘাত করা, অবৈধভাবে বাধা দানের মতো অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার ধৃতদের আন্দোলনকারীদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তাঁদের জামিন চেয়ে সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবী। পুলিশের বিরুদ্ধে অরুণিমা পাল কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এ প্রসঙ্গ তুলে এদিন তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘দাঁত দিয়ে কামড়েছে। এটা মানুষের কাজ না। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অত্যাচার করা হয়েছে। অভিযুক্ত হিসাবে যাদের বলা হচ্ছে তারা যোগ্য প্রার্থী। কৃষকরাও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টও সরায়নি। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। এঁরা কি মাওবাদী? এঁদের জামিন না দিলে অবিচার করা হবে।’
যদিও সরকারি আইনজীবী পুলিশি হেফাজতের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে যাচ্ছিলেন ওনারা। পুলিশ আটকেছে। প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে। তবে সংবিধানে কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। রাজ্যকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অধিকার দেওয়া আছে। আক্রমণাত্মক প্রতিবাদে বাধা দিলে পুলিশকে মারতে হবে? মাষ্টারমশাইরা মাস্টারমশাইদের মতো আচরণ করুন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে মারধরের।’
পাল্টা আন্দোলনকারীদের আইনজীবী জানান, কারও কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না। তা হলে কীভাবে বলা হচ্ছে এঁরা আক্রমণাত্মক? সওয়াল জবাব শেষে সকলের জামিনের নির্দেশ দেয় আদালত। এক আন্দোলনকারীর কথায়, “আমরা ভীষণ খুশি। আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে। কারণ এটা আমরা চেয়েছিলাম। আমরা তো ক্রিমিনাল নই। আমাদের ক্রিমিনাল অফেন্সে যুক্তদের মতো করে দেখানো হচ্ছে। পাঁচটা জামিন অযোগ্য ধারাও দেওয়া হয়। আমাদের কোনওভাবেই সরকার দমিয়ে রাখতে পারবে না। এটা আমাদের নৈতিক জয়।” আন্দোলনকারীদের কথায়, এটা হকের লড়াই। এ সংগ্রাম তাই চলবেই।