কলকাতা: এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে সবথেকে বেশি চর্চা হচ্ছে যেসব বিষয় নিয়ে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ শাসকদলের বর্ষীয়ান দুই নেতার আকচাআকচি। উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় গত কয়েকদিন ধরে যে ‘বাকযুদ্ধে’ নেমেছেন, তাতে নবতম সংযোজন টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া তাপস রায়ের সাক্ষাৎকার। সেখানে তিনি দাবি করেন, দলের অন্য নেতাদের স্ত্রীকে টিকিট দিতে গিয়ে কলকাতায় টিকিট পাননি তাঁর মতো কেউ কেউ।
ঘটনার সূত্রপাত উত্তর কলকাতার বিজেপি জেলা সভাপতির বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়াকে কেন্দ্র করে। এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন তাপস রায়। তার পাল্টা সুদীপকে বলতে শোনা যায়, ‘হাতি চলে বাজার তো কুত্তা ভৌকে হাজার’। পাল্টা আক্রমণ শানান তাপসও। বলেন, তিনি দলের ‘ডোবারম্যান’। জবাবে সুদীপ বলেন, “ডোবারম্যানে ম্যান থাকলেই তো আর মানুষ নয়। ডোবারম্যান তো কুকুরই।” সেই থেকে এই কথার লড়াই চলছেই।
টিভি নাইন বাংলাকেও তাপস রায় বলেন, “উনি (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) তো অতিমানব। আমরা তো অমানুষ। আমি তো এখনও বলছি আমরা দলের ডোবারম্যান। কিন্তু উনি মাঝের ছ’বছর তো ছিলেন না। উনি কী সেটা উনিই বলতে পারবেন।” একইসঙ্গে তাপস রায় জানান, সুদীপ নিজেকে কলকাতার ভূমিপুত্র বলে দাবি করলেও আসলে তিনি বহরমপুরের ভূমিপুত্র। তাপস রায়ের কথায়, “এটা ওর ভূমি নয়। ওর ভূমি বহরমপুর। ‘৮৭ সালে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি দিয়েছিলেন এখানে। আমরা মধ্য উত্তরের।”
সুদীপের ‘পর পর দু’বার কলকাতা থেকে জিতে দেখান’ চ্যালেঞ্জের জবাবেও তাপস এদিন বলেন, “আমি ২০ বছরের কলকাতা শহরের কাউন্সিলর এবং বিধায়ক। সোমেন মিত্রের স্ত্রী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে জায়গা করে দিতে, যদি আরও অনেককে জায়গা করে দিতে কলকাতার ১১টা আসনে আমাদের জায়গা না হয়, দূরে চলে যেতে হয়, তার জন্য দায়ী কি আমরা নাকি আমি?”
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর এক প্রশ্নে রাগত স্বরেই তাপস রায় বলেন, “আমি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে রাজনীতি করি না, ওকে দেখেও তৃণমূল করি না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করি। ও কী বলল কী করল কিছুই আসে যায় না।” উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা হিসাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের বিষয়ও।
তাপস রায়ের মন্তব্য, “পরিষদীয় রীতিনীতি আমরাও জানি। সিপিএমের আমলে ১০ বছর কাউন্সিলর ছিলাম, জ্যোতিবাবুর আমলে, বুদ্ধবাবুর আমলে বিধায়ক ছিলাম। আরও অনেক সাংসদও তো রয়েছেন। এত আমিত্ব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে অনেকেই নিজেকে ভাবে। এই অহংকার কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের জন্যই ভুললে চলবে না।”
কলকাতা: এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে সবথেকে বেশি চর্চা হচ্ছে যেসব বিষয় নিয়ে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ শাসকদলের বর্ষীয়ান দুই নেতার আকচাআকচি। উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় গত কয়েকদিন ধরে যে ‘বাকযুদ্ধে’ নেমেছেন, তাতে নবতম সংযোজন টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া তাপস রায়ের সাক্ষাৎকার। সেখানে তিনি দাবি করেন, দলের অন্য নেতাদের স্ত্রীকে টিকিট দিতে গিয়ে কলকাতায় টিকিট পাননি তাঁর মতো কেউ কেউ।
ঘটনার সূত্রপাত উত্তর কলকাতার বিজেপি জেলা সভাপতির বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়াকে কেন্দ্র করে। এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন তাপস রায়। তার পাল্টা সুদীপকে বলতে শোনা যায়, ‘হাতি চলে বাজার তো কুত্তা ভৌকে হাজার’। পাল্টা আক্রমণ শানান তাপসও। বলেন, তিনি দলের ‘ডোবারম্যান’। জবাবে সুদীপ বলেন, “ডোবারম্যানে ম্যান থাকলেই তো আর মানুষ নয়। ডোবারম্যান তো কুকুরই।” সেই থেকে এই কথার লড়াই চলছেই।
টিভি নাইন বাংলাকেও তাপস রায় বলেন, “উনি (সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) তো অতিমানব। আমরা তো অমানুষ। আমি তো এখনও বলছি আমরা দলের ডোবারম্যান। কিন্তু উনি মাঝের ছ’বছর তো ছিলেন না। উনি কী সেটা উনিই বলতে পারবেন।” একইসঙ্গে তাপস রায় জানান, সুদীপ নিজেকে কলকাতার ভূমিপুত্র বলে দাবি করলেও আসলে তিনি বহরমপুরের ভূমিপুত্র। তাপস রায়ের কথায়, “এটা ওর ভূমি নয়। ওর ভূমি বহরমপুর। ‘৮৭ সালে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি দিয়েছিলেন এখানে। আমরা মধ্য উত্তরের।”
সুদীপের ‘পর পর দু’বার কলকাতা থেকে জিতে দেখান’ চ্যালেঞ্জের জবাবেও তাপস এদিন বলেন, “আমি ২০ বছরের কলকাতা শহরের কাউন্সিলর এবং বিধায়ক। সোমেন মিত্রের স্ত্রী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে জায়গা করে দিতে, যদি আরও অনেককে জায়গা করে দিতে কলকাতার ১১টা আসনে আমাদের জায়গা না হয়, দূরে চলে যেতে হয়, তার জন্য দায়ী কি আমরা নাকি আমি?”
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর এক প্রশ্নে রাগত স্বরেই তাপস রায় বলেন, “আমি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে রাজনীতি করি না, ওকে দেখেও তৃণমূল করি না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূল করি। ও কী বলল কী করল কিছুই আসে যায় না।” উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা হিসাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের বিষয়ও।
তাপস রায়ের মন্তব্য, “পরিষদীয় রীতিনীতি আমরাও জানি। সিপিএমের আমলে ১০ বছর কাউন্সিলর ছিলাম, জ্যোতিবাবুর আমলে, বুদ্ধবাবুর আমলে বিধায়ক ছিলাম। আরও অনেক সাংসদও তো রয়েছেন। এত আমিত্ব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে অনেকেই নিজেকে ভাবে। এই অহংকার কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের জন্যই ভুললে চলবে না।”