Bengal BJP: ৬ মুরলিধর সেন লেনে ভিড় বাড়ছে নতুন নতুন গাড়ির, দলের শক্তি কি বাড়ছে?
Bengal BJP: দলের অন্দরেই প্রশ্ন, নতুন গাড়ির বহর, দলের বহর বাড়ছে কি?
কলকাতা: ৬ মুরলিধর সেন লেন। কলকাতার অতি পুরনো এই রাস্তা এখন সকলের কাছেই চেনা নাম। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য দলীয় কার্যালয় এখানেই। ইদানিং বিজেপির (BJP) এই অফিসের সামনে নিত্য নতুন গাড়ির ভিড় দেখা যায়। সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে সরু এই গলির ভিতরে। গাড়ি থেকে নেমে অধিকাংশরই গন্তব্য বিজেপির কার্যালয়। বিজেপির অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলির সবক’টিই নতুন বলে সূত্রের খবর। কোনওটা স্করপিও, কোনওটা ইনোভা। নতুন গাড়ির কার্যত মেলা সেখানে। এই মূহুর্তে ১৫টি গাড়ি রয়েছে। আরও দু’টো গাড়ি আসার কথা।
কারা চড়ছেন এই নতুন গাড়িতে? বিজেপি সূত্রে খবর, সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী, আরেক সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে নতুন গাড়ি থেকেই নামতে দেখা যাচ্ছে ইদানিং। নতুন ইনোভা এসেছে সহকারী সাধারণ সম্পাদকের জন্য। এছাড়া দিলীপ ঘোষের জন্য দু’টি গাড়ি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জন্য রয়েছে তিনটি গাড়ি। প্রশ্ন উঠতেই পারে সর্বভারতীয় সহসভাপতি বা রাজ্য সভাপতির জন্য একাধিক গাড়ি কেন?
বিজেপির অন্দরের খবর, দিলীপ, সুকান্তর মতো সাংসদদের সঙ্গে যেহেতু নিরাপত্তা কর্মী থাকেন, তাই তাঁদের জন্য একাধিক গাড়িও বরাদ্দ হয়েছে। বাকি গাড়ি সাধারণ সম্পাদকদের জন্য। গাড়ি পাচ্ছেন লকেট, অগ্নিমিত্রা, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সকলেই। দলীয় সূত্রের খবর, সমস্ত গাড়ির খরচ রাজ্য বিজেপিই দিচ্ছে।
নতুন যুগ্ম অফিস সম্পাদকও এখন গাড়ি পাচ্ছেন। তাঁকেও নতুন গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অফিসে কিছু কিছু কর্মীকে আনার জন্যও গাড়ি ব্যবহার হয়। শুধু রাজের অফিসেই এখন ১৫টির উপর গাড়ি। আরও গাড়ি আসছে বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু রাজ্য অফিসে আসা কর্মীদের একাংশই প্রশ্ন তুলছেন, গাড়ি না হয় বাড়ল, কিন্তু দলের শক্তি কি বাড়ছে? এমনও শোনা যায়, গাড়ির অভাবে দলের প্রধান মুখপাত্র নাকি রাজ্য অফিসে আসতে পারেন না। তাঁকে অধিকাংশ দিনই বাড়িতেই সাংবাদিক সম্মেলন করতে হয়।
এ প্রশ্ন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে করতে তাঁর জবাব, “দল বড় হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ছুটে বেড়াতে হয় নেতাদের। আমরা এখন বিরোধী দল। ১৮ জন সাংসদ, ৭০ জন বিধায়ক। তাই দলের প্রয়োজনে সংগঠনের কাজে গাড়ি বাড়ানো হয়েছে। একটা সময় যখন দল ছোট ছিল এত সাংসদ, বিধায়ক ছিলেন না, আমরা একটা গাড়িতেই চড়েছি। দলের কাজেই গাড়ি বাড়ছে।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপির এক বহুদিনের নেতা অবশ্য বলছেন, ‘আগে দিল্লি থেকে নেতারা আসলে কর্মী বা সমর্থকের বাড়িতে থাকতেন। এখন থাকেন ফাইভ স্টার হোটেলে। আগে রাজ্য অফিসে সব বৈঠক হতো, এখন বড় বড় হোটেলে বৈঠক হয়। আসলে কর্পোরেট কালচার ভাল রপ্ত হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় দলটা বাড়েনি। এত কর্মী এখনও ঘরছাড়া। খাবার পয়সা জোটে না অনেকের। দল কি এসব নিয়ে ভাবে?’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, নতুন গাড়ির বহর, দলের বহর বাড়ছে কি?