নির্মল-পিএইচডি: উনি চেয়ারম্যান, উনি মন্ত্রী, উনিই গাইড ঠিক করেন, আমরা দর্শক

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Dec 19, 2020 | 12:05 AM

কিন্তু সুযোগ পেলেন কীভাবে? পিএইচডি করা তো চাট্টিখানিক কথা নয়। এবারও মন্ত্রী বললেন, 'রিজেনারেটিভ মেডিসিনের ওপরে এমফিলের কাজ কমপ্লিট। প্রচুর নম্বর পেয়েছি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করলাম। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পিইচডি করব। সব ঠিক হয়ে গিয়েছে।'

নির্মল-পিএইচডি: উনি চেয়ারম্যান, উনি মন্ত্রী, উনিই গাইড ঠিক করেন, আমরা দর্শক
নির্মল-পিএইচডি: উনি চেয়ারম্যান, উনি মন্ত্রী, উনিই গাইড ঠিক করেন, আমরা দর্শক

Follow Us

তন্ময় প্রামাণিক: শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর রাজ্যের আরেক মন্ত্রী নির্মল মাজির (Nirmal Maji) পিএইচডি করা নিয়ে শুরু হল বির্তক। অভিযোগ, ভোটের আগেই ‘ঘুরপথে’ অনুমতি আদায় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন নির্মল।

রাজ্যের শ্রম মন্ত্রীর এমফিল ইতিমধ্যেই কমপ্লিট। এবার পিএইচডি-র পথে অগ্রসর হয়েছেন এই চিকিৎসক নেতা। ডাক্তার নির্মল মাজি এখন ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রির সন্ধানে। তবে তাঁর এমফিল নিয়েও কম বির্তক নেই। কীভাবে কখন তিনি এমফিল করলেন? গবেষণা করলেন? কীভাবে বা তিনি পিএইচডি করবেন? এহেন প্রশ্নের মুখে নির্মলের সাফ জবাব, ‘এমফিল কমপ্লিট করেছি। এবার পিএইচডি করছি। রিজেনারেটিভ মেডিসিন নিয়ে।’

কিন্তু সুযোগ পেলেন কীভাবে? পিএইচডি করা তো চাট্টিখানিক কথা নয়। এবারও মন্ত্রী বললেন, ‘রিজেনারেটিভ মেডিসিনের ওপরে এমফিলের কাজ কমপ্লিট। প্রচুর নম্বর পেয়েছি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করলাম। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পিইচডি করব। সব ঠিক হয়ে গিয়েছে।’

প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি করা নিয়েও বিতর্ক ছড়িয়েছিল? তাঁর ক্ষেত্রেও এমনটা হবে না তো? এই প্রশ্নেও আত্মবিশ্বাসী নির্মল। বললেন, ‘আরে আমি চিকিৎসক। ২২টি সংগঠনের দায়িত্বে। রাজ্যের মন্ত্রী। করোনা হাসপাতালে দিনে আঠারো ঘণ্টা সময় দেই। এমফিল কমপ্লিট করেছি স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন রিজেনারেটিভ মেডিসিনের ওপর। এবার পিএইচডি করবো। বাধা কোথায়?” আপনার গাইড কে হবেন? নির্মলের দৃঢ় উত্তর, ‘রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিভাগের ডিরেক্টর আছেন। তাঁরাই ঠিক করবেন। অনেকেই হতে চান। ওটা কোনো বাপ্যার নয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মোট কথা পিএইচডি করছি।’

আরও পড়ুন: স্বস্তিতে তৃণমূল, দিদির সঙ্গেই থাকছেন আসানসোলের জিতেন্দ্র

তাঁর পিএইডি করার বিষয়ে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ‘উনি এখানকার রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। রাজ্যের মন্ত্রী। ওনার কথায় শেষ কথা এখানে। নিজেই আবেদন, গাইড ঠিক করা, বিষয়, সব করছেন। আমরা দর্শক মাত্র! বিরোধিতা করলে শুনবেন কে? আর পরিণতি তো জানেন!’ এই বিষয়ে জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচাৰ্যকে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি। হোয়াটস্যাপ করলেও জবাব মেলেনি।

আরও পড়ুন: নেতারা কেন দল ছাড়ছেন? পিকে-কে প্রশ্ন মমতার

Next Article