নেতারা কেন দল ছাড়ছেন? পিকে-কে প্রশ্ন মমতার

কেন একের পর নেতারা দল ছাড়ছেন? শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে পিকে-র কাছেই সরাসরি তাঁর মতামত জানতে চান মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন ‘কেন এই সব হচ্ছে, আপনার কী মনে হয়!’

নেতারা কেন দল ছাড়ছেন? পিকে-কে প্রশ্ন মমতার
নেতারা কেন দল ছাড়ছেন? পিকে-কে প্রশ্ন মমতার
Follow Us:
| Updated on: Dec 18, 2020 | 10:09 PM

কলকাতা: কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। একে একে দল ছাড়ছেন বহুদিনের নেতা-মন্ত্রী-কর্মীরা। এই অবস্থায় এদিন কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকে প্রথম সারির সকল নেতারা বাদেও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সব চোখ এদিন ছিল তাঁরই উপর। কেননা, সিংহভাগ দলত্যাগী নেতারাই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে (Prashant Kishor)।

কেন একের পর নেতা দল ছাড়ছেন? শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে পিকে-র কাছেই সরাসরি তাঁর মতামত জানতে চান মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন ‘কেন এই সব হচ্ছে, আপনার কী মনে হয়!’ পিকে বলেন, বিজেপি বিভিন্ন ভাবে এজেন্সির ভয় দেখাচ্ছে, অনেকে লোভে পড়েও এইসব করছে।

যারা গেছে বা যাবে বলে ঠিক করে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছে তাদের কথা ভেবে সময় নষ্ট করে আর লাভ নেই। তবে যারা এখনও দলে আছেন, তাদের দলে ধরে রাখার শেষ চেষ্টা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মমতা। এদিন তিনি বলেছেন, যারা এখনও আছে কিন্তু যাব যাব করছে, তাদের সঙ্গে শেষবারের জন্য বসুন। বোঝান, যদি না বোঝে যাক যেখানে যাবে (রেগে গিয়ে)। যে থাকতে চাই থাকবে, যারা ভয় পাচ্ছে তাদের দরকার নেই। আমি একাই লড়ে নেব।

আগামিকাল মেদিনীপুরে সভা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সেখানেই শুভেন্দু-সহ একাধিক প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা চলছে জোর। সেই সম্ভাব্য নামের তালিকা নিয়েও এদিনের বৈঠকেও আলোচনা হয় বলে খবর সূত্রের। তবে ভোটকুশলী নিজে একটা বিষয় সাফ করে দিয়েছেন। তাঁর দল পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে তৃণমূলের বহু নেতার সমস্যা রয়েছে সেটা তিনি জানেন। তবে এসবের দায়িত্ব নিতে রাজি নন প্রশান্ত কিশোর। মমতাও যে দলের এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কিছুটা বিব্রত, সেটাও খানিকটা স্পষ্ট হয়েছে এদিনের বৈঠকে।

তবে বিধানসভা ভোটের মাসচারেক বাকি থাকতে দলের যখন একপ্রকার সঙ্গীন পরিস্থিতি। তবে আত্মবিশ্বাস অটুট রেখেছেন আন্দোলনের পথ ধরে শীর্ষে ওঠা তৃণমূল নেত্রী। দলের বাকি নেতাদের মনোবল শক্ত রাখতে তাঁর বার্তা, পাতা ঝরে গেলে গাছের কিছু আসে যায় না। শেষ পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে, তবে একাই লড়ার কথাও উঠে এদিন তাঁর মুখে। মূলত এই বার্তাটাই দল এবং মানুষের কাছে নিয়ে যাবে তৃণমূল। যারা আছে তাদেরকে নিয়েই লড়াইয়ে নামতে হবে। বিজেপি এখন দল ভাঙানো খেলায় নেমেছে। মানুষকে এটাই বোঝাতে হবে যে ওরা ভয় দেখিয়ে কীভাবে অন্যান্য রাজ্যেও সরকার ভেঙেছে, সরকারে এসেছে। এখন দলের জন্য এই রোডম্যাপটাই এঁকে দিয়েছেন মমতা।