বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়, বিরোধিতায় ত্রিফলা ‘যুক্তি’ শুভেন্দুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Jul 06, 2021 | 7:52 PM

West Bengal Legislative Council: কেন বিরোধিতা? আজকের অধিবেশন শেষে তার ব্যাখ্যাও দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়, বিরোধিতায় ত্রিফলা যুক্তি শুভেন্দুর
বিধান পরিষদ তৈরির বিরোধিতা শুভেন্দুর

Follow Us

কলকাতা: প্রত্যাশানুযায়ী বিধানসভায় ভোটুভুটির মাধ্যমে পাশ হয়ে গেল রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব। মঙ্গলবার দ্বিতীয় অর্ধের অধিবেশনে দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন নিয়ে পাশ হয় এই প্রস্তাব। বিধান পরিষদ গঠনের সমর্থনে ১৯৬ টি ভোট পড়ে। অন্যদিকে, ৫৯ টি ভোট পড়ে এর বিরোধিতায়। প্রধানত বিজেপি বিধায়করাই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। কিন্তু কেন বিরোধিতা? আজকের অধিবেশন শেষে তার ব্যাখ্যাও দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

২০১১ সালে বিধানসভার উচ্চকক্ষ অর্থাৎ বিধান পরিষদ তৈরির যে প্রস্তাব মুলতুবি রাখতে হয়েছিল, এ দিন সেই প্রস্তাবই পুনরায় পেশ করা হয়। এই প্রস্তাব পেশ করা হলে তার বিরোধিতা করেন বিজেপির বিধায়করা। শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে সেই প্রস্তাব পাশ করানো হয়। তবে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হলেই বিধান পরিষদ গঠন করা যাবে না। এরপর লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তা পাশ হতে হবে, ও শেষে তাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর লাগবে। এর আগেও রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘বাংলা’ করার একটি প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সায় দেয়নি। একই ভাবে বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাবও কেন্দ্রের সিলমোহর পাবে না বলেই এ দিন আশাবাদী শোনায় শুভেন্দুকে।

প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই প্রস্তাব বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রামের বিধায়কের কথায়, “এই পরিষদ তৈরির কোনও প্রয়োজন নেই। ১৯৬৯ সালে যে যে যুক্তির ভিত্তিতে বিধান পরিষদ তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা আজও একইভাবে প্রযোজ্য।” মূলত তিনটি কারণে বিরোধিতার করার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন বলে জানান শুভেন্দু। যার মধ্যে অন্যতম, ‘আর্থিক দায়ভার’।

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: ইতিহাস ফেরাচ্ছেন মমতা, সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কতটা যুক্তিযুক্ত বিধান পরিষদ?

শুভেন্দুর দাবি, “বিধানসভা থেকে বিল অনুমোদনের জন্য বিধান পরিষদে গেলে তাতে দীর্ঘসূত্রিতা এবং সময়ের অপচয় হয়। সেই কারণে এর বিরোধিতা করেছি।” বিধান পরিষদের জন্য ৫ বছরে ৬০০-৮০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁর স্পষ্ট কথা, “অর্থের অপচয় বন্ধ করতে হবে।” তৃতীয় যুক্তি খাড়া করে শুভেন্দু বলেন, “এমন অনেকে আছেন যারা ভোটে হেরে গিয়েছেন। তাঁদের পিছনের দরজা দিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেরও আমরা বিরোধিতা করছি।”

আরও পড়ুন: ‘ল্যাজ ছাড়া হনু ঘুরে বেড়াচ্ছে’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে ‘উপহাস’ মমতার

Next Article