কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভান্স সেল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গ্রিভান্স সেলের পরিকাঠামোগত ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য টেন্ডারে বিস্তর বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার। প্রথমবারের টেন্ডার বাতিল করে দ্বিতীয়বার আইপ্যাকের পছন্দের সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তাঁর। শুভেন্দুর বক্তব্য, প্রথমবার বরাত দেওয়া হয়েছিল ১২০ কোটি টাকার। সেটি বাতিল হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল ১৫০ কোটি টাকায়। আর এই ৩০ কোটি টাকা অতিরিক্ত নিয়েই প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারীর। বলছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে কীভাবে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে! আমি নিশ্চিত এই ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে একটি বড় অংশের টাকা তৃণমূল কাটমানি হিসেবে নিয়েছে। কারণ প্রথম টেন্ডার ১২০ কোটি টাকার ছিল। পরের টেন্ডার ১৫০ কোটি টাকার করা হল।’
বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, ‘তাহলে এই ৩০ কোটি টাকা কি দুবাই হয়ে আমেরিকার পথে? এই প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গের একজন করদাতা হিসেবে, একজন ক্ষুদ্র জনপ্রতিনিধি হিসেবে তুলে দিয়ে গেলাম।’ টেন্ডার বেনিয়মের এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইডি চাইলে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে পারে বলেও মত বিরোধী দলনেতার। এই টেন্ডার বেনিয়মের ঘটনায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে নিশানা করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘আপনি যে কায়দায় আরএফপি বদলেছেন, যে কায়দায় ওয়েবেলের থেকে টেন্ডার ছিনিয়ে নিয়েছেন, যে কায়দায় আগের অঙ্কের সঙ্গে বর্তমান অঙ্কের পার্থক্য ঘটিয়ে দিয়েছেন… তাতে সরাসরি আপনি এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। অন রেকর্ড। স্বাভাবিকভাবেই এটা PMLA-এর জন্য ফিট কেস।’
যদিও এই সব অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। রাজ্যের শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, এই জাতীয় অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বলছেন, ‘তিনি(শুভেন্দু) কোনও কোনও মহলের প্রশ্রয়ে এই ধরনের একতরফা মিথ্যাচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজ করেছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে সব অভিযোগ করছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কড়া ভাষায় নিন্দা করছি। টেন্ডারে যা যা মাপকাঠি ছিল, তার উপর দাঁড়িয়েই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’ পাল্টা কাঁথি পুরসভায় সারদার টাকা ঢোকার অভিযোগ তুলে PMLA-আইনে শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন কুণাল। শুভেন্দুর অভিযোগ পুরোপুরি মনগড়া বলে দাবি তৃণমূল মুখপাত্রর।