IIT Kharagpur: ‘আপনার ছেলে আছে? বোঝেন সন্তানের মৃত্যুর যন্ত্রণা?’, খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে ভর্ৎসনা বিচারপতি মান্থার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 20, 2023 | 12:36 PM

Calcutta High Court: যদিও খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টর বলেন, প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীই তাঁর কাছে সন্তানতুল্য।

IIT Kharagpur: আপনার ছেলে আছে? বোঝেন সন্তানের মৃত্যুর যন্ত্রণা?, খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে ভর্ৎসনা বিচারপতি মান্থার
আইআইটির ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি। ডানদিকে ফয়জান আহমেদ।

Follow Us

কলকাতা: আইআইটির ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আইআইটির ডিরেক্টরকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি মান্থা এদিন প্রশ্ন করেন, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আদৌ কোনও অনুভূতি আছে? নিজের সন্তান হলে কেমন মনে হত? একইসঙ্গে বিচারপতি জানান, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা ঘটলে তার দায়বদ্ধতা ডিরেক্টরের উপর বর্তাবে। খড়গপুর আইআইটির বি.টেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়জান আহমেদ। গত ১৪ অক্টোবর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথম থেকেই ফয়জানের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। ছেলের দেহ শনাক্ত করতে এসে ফয়জানের বাবা বলেছিলেন, “এ আমার ছেলে নয়। ওকে জ্বালিয়ে কুকুর-বিড়ালের মতো ফেলে দিয়েছে। ছ’-সাত দিনের লাশকে গতকালের বলে চালানো হচ্ছে।” সিআইডি বা সিট এর তদন্ত করুক, এই দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। ফয়জানের মৃত্যু রহস্যের মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। শুক্রবারও ছিল শুনানি।

এদিন আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইআইটির ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি। তাঁকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘ডিরেক্টর হিসাবে কি পদক্ষেপ করেছিলেন ছাত্রের মৃত্যুর পর?’ আইআইটির আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র জানান, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর হাইপাওয়ার কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই কমিটি জানায়, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘একজন ছাত্রের র‍্যাগিংয়ে মৃত্যু হলে আপনার মনে কি কোন আঘাত লাগে? আপনার কি কোনও অনুভূতি আছে? আপনার ছেলে আছে? বোঝেন সন্তানের মৃত্যুতে কেমন লাগে?’ একইসঙ্গে বিচারপতি বলেন, এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছেন, যাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথাও ভাবতে হবে। এ বিষয়ে ডিরেক্টর সক্রিয় ভূমিকা নেবেন বলে আশা করছি, মন্তব্য করে আদালত।

মামলাকারীর আইনজীবী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আইআইটির তরফে নতুন করে আজ রিপোর্ট জমা দেওয়া হল। বিচারপতি বলেছেন, আমরা যে ইস্যুগুলো তুলছি, সেগুলোর যদি উপযুক্ত জবাব তারা না দেয়, তাহলে আদালতকে জানাতে। রিপোর্টে কী আছে জানি না। ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি হবে। এদিন আইআইটি সংক্রান্ত ইস্যুর শুনানি। ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন সংক্রান্ত শুনানি হবে ৬ তারিখ। আমরা বারবার বলছি, পুলিশ তদন্তে বিভ্রান্ত করছে।” অন্যদিকে আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টর বলেন, “আমার সকল ছাত্র আমার কাছে সন্তানের মতো। আমি সবসময় তাঁদের আমার ছেলে মেয়েই বলি।”

Next Article