Firhad Hakim: ‘তদন্ত হোক, আপত্তি নেই!’ পুর-দুর্নীতির অভিযোগে সোজাসাপ্টা ফিরহাদ
Municipal Irregularities: রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিক্ষা থেকে শুরু করে পুরসভা, রেশন একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। রেশন দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই মাঝেমধ্যেই ইডির অফিসে ডাক পড়ছে বিভিন্ন পুরসভার।
কলকাতা: পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তেড়েফুঁড়ে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। একাধিক পুরসভা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, তদন্তে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। বললেন, “তদন্ত করুক। তাতে কোনও আপত্তি নেই। যখন সন্দেহ হয়েছে, যখন সংবাদমাধ্যমে এত বলাবলি হয়েছে, তখন তদন্ত হোক। তদন্তে আমরা কোনওদিন কোনও আপত্তি করিনি। তদন্ত না হলে, গায়ে লেগে যাওয়া কাদা ধোয়ার উপায় নেই। প্রকৃত সত্য সামনে আসবেই। সব জায়গায় দুর্নীতি নেই। আদালত আছে, ভগবান আছেন… সত্য তো সামনে আসবেই।”
রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিক্ষা থেকে শুরু করে পুরসভা, রেশন একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। রেশন দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই মাঝেমধ্যেই ইডির অফিসে ডাক পড়ছে বিভিন্ন পুরসভার। সোমবারও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। দীর্ঘক্ষণ ইডির অফিসে কাটিয়ে বিকেলে সিজিও থেকে বেরোন তিনি।
এসবের মধ্যেই এবার পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে সোজাসাপ্টা দাবি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র। প্রসঙ্গত, গতমাসেই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। দীর্ঘক্ষণ মন্ত্রীর বাড়িতে ছিলেন সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। সিবিআই মন্ত্রীর বাড়ি ছাড়তেই সাংবাদিক বৈঠকে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এসবের সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নন।