Mamata Banerjee: গঙ্গাসাগরের স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata Banerjee: গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার জন্য পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত বাস, লঞ্চ থাকবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস চলবে। ২৫০টি বেসরকারি বাস থাকবে পুণ্যার্থীদের জন্য। এছাড়া ১০০টি লঞ্চ, ৯টি বার্জ ও ৩২টি ভেসেল থাকবে। ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।
কলকাতা: বাংলাদেশের নাম নিলেন না। কিন্তু, নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর অঞ্চলের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আরও নজরদারি বাড়ানোর কথা বললেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, গঙ্গাসাগর মেলার সময় তিনদিন সেখানে থাকবেন তিনি।
এবছর গঙ্গাসাগর মেলা পড়েছে ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি। পুণ্যস্নান ১৪ জানুয়ারি ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। এদিন নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বার বার বলা সত্ত্বেও গঙ্গাসাগর জাতীয় মেলার তকমা পাচ্ছে না। আমাদের পুরো টাকা খরচ করতে হয়। তাও আবার চিঠি দেব।” একইসঙ্গে তিনি জানান, মুড়িগঙ্গার উপর সেতু করতে সার্ভে হয়ে ডিপিআর হয়ে গিয়েছে। চার লেনের এই সেতুর জন্য খরচ পড়বে দেড় হাজার কোটি টাকা। নাম হবে গঙ্গাসাগর সেতু।
গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার জন্য পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত বাস, লঞ্চ থাকবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস চলবে। ২৫০টি বেসরকারি বাস থাকবে পুণ্যার্থীদের জন্য। এছাড়া ১০০টি লঞ্চ, ৯টি বার্জ ও ৩২টি ভেসেল থাকবে। ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। গঙ্গাসাগর মেলায় ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি আরতি হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন। তাঁদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
গঙ্গাসাগর মেলায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। মমতা জানান, আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ৩৫০টি শয্যা থাকবে। ১৩০ শয্যার ৫টি অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র থাকবে। আইসিইউয়ের বন্দোবস্তও রাখা হবে।
এরপরই গঙ্গাসাগর মেলার সময় আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, গঙ্গাসাগর অঞ্চলের কিছু এলাকা স্পর্শকাতর। নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী, আইবি, এসবি-কে নজরদারি রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি না বলা পর্যন্ত পুলিশকে গঙ্গাসাগর মেলা থেকে সরানো যাবে না। ১২ হাজারের বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে গঙ্গাসাগর মেলায়। ১৫০টি সিসিটিভি থাকবে। ড্রোন থাকবে ২০টি। গঙ্গাসাগরে ৬ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি থাকবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।